বিশ্বজলবায়ু ধর্মঘট পালন করল যুক্তিবাদী মঞ্চ। —নিজস্ব চিত্র।
জলবায়ুর পরিবর্তন রুখতে বিভিন্ন রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসার ডাক দিয়ে বিশ্বের প্রতিবাদী মুখ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন সুইডেনের তরুণী গ্রেটা থুনবার্গ। তাঁর নেতৃত্বে ‘ফ্রাইডেজ় ফর ফিউচার’ নামে সংগঠন শুক্রবার বিশ্বব্যাপী কর্মসূচির আহ্বান জানায়। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে এ দিন উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়া-সহ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করল যুক্তিবাদী মঞ্চ। শুক্রবার স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে মঞ্চের সদস্যেরা বনগাঁ মহকুমার নহাটা এলাকায় পাড়ায় পাড়ায় মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালান। মূল স্লোগান ছিল, ‘জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাও, নয় তো জলবায়ু ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটাও।’ যুক্তিবাদী মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ সরকার বলেন, ‘‘জলবায়ুকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের প্রকৃতিকে ভালবাসতে হবে। প্রাকৃতিক সম্পদকে রক্ষা করতে হবে। পাশাপাশি, প্রকৃতির বিরুদ্ধে যারা কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’’
যুক্তিবাদী মঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার আর্থ-সামাজিক নানা ঘটনা প্রভাব ফেলছে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে। বর্তমানে এই জেলার নদীগুলি হারিয়ে যেতে বসেছে। সুন্দরবন অঞ্চলে সুন্দরবনের জীব বৈচিত্র সঙ্কটের মুখে। জলস্তর বৃদ্ধি, ঋতুচক্রের পরিবর্তনের ফলে জীবিকা হারাচ্ছেন বহু মানুষ। আগে জেলা জুড়ে অসংখ্য খালবিলে বিভিন্ন প্রজাতির প্রচুর মাছ পাওয়া যেত। বর্তমানে মানুষ নদীর গতিপথ বন্ধ করে ভেরি ইটভাটায় জল ঢোকাচ্ছে, নির্বিচারে পলি মাটি সংগ্রহের ফলে নদী স্বাভাবিক গতি হারাচ্ছে। এর ফলে মাছের সংখ্যা কমছে। কৃষিকাজেও প্রভাব পড়েছে। প্রদীপ জানান, জলবায়ু পরিবর্তনে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত কম হওয়ার মাটির তলার জল বেশি পরিমাণে উত্তোলন হচ্ছে। বাড়ছে আর্সেনিকের প্রভাব। বসিরহাট-সহ জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় ইছামতীর পাড়ে অসংখ্য ইটভাটায় জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে।
যুক্তিবাদী মঞ্চের সদস্যেরা জানালেন, জেলার বৃহত্তম নদী ইছামতী। এক সময়ে এই নদীপাড়ের কৃষিজ ফসল ছিল সারা পৃথিবীতে সমাদৃত। বাংলার পাট ছিল বিখ্যাত। আজ পাট চাষ হলেও জলের অভাবে পাটে সোনালি রং পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চাষিদের। ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে মশা-মাছির উপদ্রব বেড়েছে। নতুন নতুন জীবাণু বিশ্বজুড়ে মহামারি ছড়াচ্ছে। সামগ্রিক ভাবে ক্ষতি হচ্ছে মানবসম্পদেরই।
এ দিন স্কুল পড়ুয়ারা জলবায়ু রক্ষা করতে কী করা উচিত, সে বিষয়ে চিঠি লেখে। প্রদীপ জানান, চিঠিগুলি পরিবেশ দফতরে পাঠানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy