—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কালীপুজোর আগে পুলিশি অভিযানে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ শব্দবাজি। বুধবার রাতে বারুইপুরে সাদার্ন বাইপাস সংলগ্ন পুরন্দরপুর এলাকা থেকে বাজিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। উস্তির বাসিন্দা দুই ব্যক্তি অটোয় ওই বাজি নিয়ে আসছিলেন। পুলিশের নাকা তল্লাশির দল তাঁদের আটকায়। নিষিদ্ধ বাজি রাখার অভিযোগে দু’জনকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম প্রহ্লাদ হালদার ও মোজারুল শেখ। উদ্ধার হয়েছে প্রায় হাজার তিনেক চকলেট বোমা ও অন্যান্য বাজি। চম্পাহাটির হারাল থেকে ওই দুই ব্যক্তি বাজি কিনে এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে সূত্রের দাবি।
এই পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধ বাজির রমরমা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। হারালে অন্যান্য বাজির সঙ্গে রমরমিয়ে শব্দবাজিও তৈরি হয় বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গত বছর কালীপুজোর আগে হারালে অভিযান চালিয়ে বাজি তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছিল পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় কয়েক হাজার বাজি। পরেও দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। কিন্তু এত কিছুর পরেও নিষিদ্ধ বাজি বিক্রিতে রাশ টানা যায়নি। কালীপুজোর সময়ে চম্পাহাটির বাজি বাজারে প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় শয়ে শয়ে শব্দবাজি। কালীপুজোর ক’দিন বিভিন্ন এলাকায় শব্দবাজির দাপটও চোখে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এ বারও ইতিমধ্যেই হারাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় বাজি সরবরাহ শুরু হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বাজি কিনে নিয়ে গিয়ে মজুত করছেন। এলাকার লোকজন জানান, দফায় দফায় অভিযান বা
ধরপাকড়েও হারালে নিষিদ্ধ বাজির উৎপাদনে লাগাম টানা যায়নি। রমরমিয়ে বাজি তৈরি ও বিক্রি হচ্ছে বলেই অভিযোগ। উস্তির দুই ব্যবসায়ীও এলাকায় বিক্রি করার জন্যই হারাল থেকে বাজি কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে পুলিশি তৎপরতায় তাঁরা ধরা পড়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলে। আগামী দিনেও অভিযান চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy