ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা
এক বছরের বেশি সময় ধরে সুন্দরবনের পর্যটন ব্যবসা ক্ষতির মধ্যে দিয়ে চলছে। বুলবুল, আমপান ও সর্বোপরি করোনা পরিস্থিতির জেরে কার্যত ধুঁকছে সুন্দরবনের পর্যটন। সম্প্রতি বন্ধ থাকা সুন্দরবনের পর্যটন খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে করোনার কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সোমবার সরকারি এই বিধিনিষেধের প্রতিবাদ জানিয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রতিটি ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এই বাড়তি ভাড়া পর্যটন ব্যবসায়ীরা দিতে পারবেন না বলে তাঁরা আন্দোলন শুরু করেছেন। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটকদের ওয়াচ টাওয়ারে না ওঠার যে সিদ্ধান্ত বন দফতরের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে তা বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অনলাইনে বুকিংয়ের পাশাপাশি অফলাইনে বুকিং চালু রাখা, একই দিনে সুন্দরবনের নদীতে লঞ্চ ও ভুটভুটি চলাচলের যে নির্দিষ্ট সংখ্যা বন দফতর বলে দিয়েছে, তা বাতিল করা-সহ আরও বেশ কিছু দাবিও তুলেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সুন্দরবন পিপল ওয়াটার সোসাইটির সহ সভাপতি সমীর মণ্ডল বলেন, “একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়, করোনার মতো অতিমারির ফলে আমাদের ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ।
মাসের পর মাস কর্মীদের বেতন দিতে হচ্ছে, কিন্তু পর্যটন বন্ধ। এখন যা নিয়ম হয়েছে, তাতে সুন্দরবন ভ্রমণের খরচ পর্যটকদের কাছে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। তাই বুকিংও হচ্ছে না। বন দফতরের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছি। স্মারকলিপিও দিয়েছি।” বন দফতর দাবি না মানলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে গোটা সুন্দরবনে পর্যটন স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ বিষয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর তাপস দাস বলেন, “সপ্তাহ দু’য়েক আগে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পর্যটন চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন করে এ দিন কারা কী দাবি নিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন আমার জানা নেই। তবে আমার কাছে কেউ এ দিন স্মারকলিপি জমা দেননি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy