— প্রতীকী চিত্র।
কলেজ পরিচালন সমিতির শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধা পাওয়ার দাবি করলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বুধবার ডায়মন্ড হারবারের ফকিরচাঁদ কলেজে ওই মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) বিক্ষোভে ‘বাধা পেয়ে’ দীর্ঘ সময় রাস্তায় বসে কাটান ১০ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। টিএমসিপি বিক্ষোভের কথা মেনেছে। তবে মনোনয়নে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মানেনি।
কলেজ সূত্রের খবর, ছ’বছর ধরে পরিচালন সমিতির নির্বাচন হয়নি। ছ’বছর আগে যাঁরা পরিচালন সমিতির সদস্য ছিলেন, তাঁরা অন্যত্র বদলি হয়েছেন। এ বার সে নির্বাচন হওয়ার কথা ২০ ডিসেম্বর। তিন সদস্যের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলিয়ে ভোটার রয়েছেন প্রায় ৬৩ জন। এ দিন ছিল মনোনয়ন পেশের দিন। পিয়ালি সরকার নামে এক শিক্ষিকা ন’জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। দাবি, কলেজ থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে, তাঁদের পথ আটকে আগের পরিচালন সমিতি ক্ষমতায় থাকাকালীন কলেজে কোনও উন্নয়ন হয়নি,এই অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান কিছু ছাত্রছাত্রী।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় ছিল দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত। পুরো সময়টাই পিয়ালিদের কলেজে ঢোকায় বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁরা রাস্তার পাশে বসে থাকেন। শেষমেশ বাড়ি ফিরে যান। ওই দলে থাকা শিক্ষক গোকুলানন্দ গোস্বামীর দাবি, “তৃণমূলের বহিরাগতেরা এলাকা ঘিরে ফেলেছিল। কলেজের কিছু ছাত্রছাত্রী এবং বহিরাগতেরা আমাদের সামনে মিথ্যা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। যাতে কোনও মনোনয়ন জমা না পড়ে।’’ ‘পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র (ওয়েবকুটা) সাধারণ সম্পাদক কেশব ভট্টাচার্য এক বিবৃতিতে বলেন, “আমাদের সমিতি ওই কলেজের পরিচালন সমিতিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে শাসক দলের অনৈতিক হস্তক্ষেপ ও সন্ত্রাস তৈরির এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছে।”
কলেজের টিএমসিপি নেতা ঋক সিংহ রায়ের দাবি, ‘‘কলেজের উন্নয়ন নিয়ে আগেও ওই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু ব্যবস্থা হয়নি। বাধ্য হয়ে আজ ওঁদের কলেজে ঢোকার মুখে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। বিক্ষোভে বহিরাগত কেউ ছিল না। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
অধ্যক্ষ সৌমেন চন্দ্র বলেন, “কলেজে কোনও সমস্যা হয়নি। রাস্তায় কী হয়েছে, জানি না। ছাত্র-ছাত্রীরা দাবিদাওয়া নিয়ে আমার কাছেও স্মারকলিপি দিয়েছেন। দাবি পূরণের চেষ্টা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy