খিচুড়ির মধ্যে পোকা বেছে দেখাচ্ছেন এক অভিভাবক। —নিজস্ব চিত্র
নিম্নমানের পোকা-সহ খিচুড়ি পরিবেশনের অভিযোগে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে সাগর ব্লকের মুড়িগঙ্গা ২ পঞ্চায়েতের ১৪৯ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটিতে ৩৪ জন পড়ুয়া আছে। অভিযোগ, একটি ভগ্নপ্রায় গোয়ালঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লাস চলে। ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজতে হয় শিশুদের। অভিভাবকদের অভিযোগ, দিনের পর দিন সেখানে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়। তাঁদের দাবি, কর্মীরা ইচ্ছে করেই খারাপ খাবার দেন। প্রতিদিনের মতো এদিনও কেন্দ্র থেকে প্রসূতি ও শিশুদের খাবার দেওয়া হয়েছিল। মেনু ছিল খিচুড়ি ও সয়াবিন। খিচুড়ি খাওয়ার সময় তার মধ্যে পোকা পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অভিভাবকদের একাংশ। তার আগেই সেই খাবার খেয়ে ফেলেন কয়েকজন প্রসূতি ও শিশু। বিষয়টি সামনে আসতেই তাঁদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক শম্পা দাস বলেন, ‘‘সকালে এখান থেকে খিচুড়ি নিয়ে গিয়েছিলাম। বাচ্চাকে খেতে দেওয়ার সময় দেখি ভিতরে পোকা রয়েছে। ওই খাবার নিয়ে এসে দিদিমণিকে দেখাই। তিনি জানান, দুটো সয়াবিনে পোকা ছিল। সেগুলি উনি ফেলে দিয়েছেন। অন্যগুলোতে পোকা ছিল কি না তা জানেন না।’’
আর এক অভিবাবক পৌলমী মণ্ডল বলেন, ‘‘একেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লাস চলে। একদিকে গরু বাঁধা থাকে, অন্যদিকে বাচ্চারা পড়াশোনা করে। তার মধ্যে খাবারের মানও দিন দিন খারাপ হচ্ছে।’’
এই বিষয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকা আফরিজা বিবি বলেন, ‘‘বাজার থেকে সয়াবিন কিনে এনে ভাল করে ধুয়ে রান্না করেছি। তাতেও যদি পোকা থাকে আমার কিছু করার নেই। এরপর থেকে রান্নার সময়ে আরও ভাল করে খেয়াল রাখব।’’
অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী সুপ্রভা দাস বলেন, ‘‘দোকান থেকে কিনে এনে সয়াবিন রান্না করা হয়েছে। ভিতরে পোকা ছিল তা বোঝা যায়নি। এরপর থেকে আমরা আরও সতর্ক থাকব।’’
এ বিষয়ে সাগরের সিডিপিও অশোক দাস বলেন, ‘‘খাবারে পোকা মেলার অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ওই কেন্দ্রের কর্মীকে শোকজ করা হবে। গোয়ালঘরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থেকে শিশুদের ক্লাস যাতে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যায়, তাও দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy