মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং চলছে। ছবি: সমরেশ মণ্ডল
মাস দেড়েক বাদে, নতুন বছরে জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে গঙ্গাসাগর মেলা। গত বছর মেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছিলেন। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বছর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মেলার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে নবান্নে একটি বৈঠক হয়। এরপরে বুধবার দুপুরে সাগর বিডিও অফিসে অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি অধিগ্রহণ) হরসিমরন সিংহের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন সাগরের বিডিও কানাইয়া কুমার রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবিনা বিবি। ছিলেন পুলিশ কর্তারা। কারিগরি, সেচ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকেরাও ছিলেন। বৈঠকের পরে গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন জায়গা ও কচুবেড়িয়া এলাকার জেটিঘাট বেনুবন পয়েন্ট ঘুরে দেখেন তাঁরা।
দুই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মেলায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা মোকাবিলা ও নজরদারিতে সাগরদ্বীপের সব পরিবহণে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হবে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুম থেকে সমস্ত ভেসেল ও বাসে নজরদারি চালানো যাবে। কুয়াশায় জন্য দৃশ্যমানতার সমস্যা রুখতে ভেসেলে নেভিগেশন লাইটের ব্যবস্থাও করা হবে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগরে কপিলমুনি মন্দিরের কিছু অংশ সংস্কার করা হছে। মন্দিরে লেগেছে নতুন রঙের ছোঁয়া। সমুদ্রতটে পাড় বাঁধানোর কাজও শুরু হয়েছে। মন্দিরের রাস্তার দু’ধারে থাকা খারাপ ত্রিফলাবাতি সারানো হচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। মন্দির চত্বরে তৈরি হচ্ছে পাকা নিকাশি নালা। পাশাপাশি, মু্ড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজিং করে পলি তোলার কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। তৈরি থাকছে স্বাস্থ্য দফতরও। ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়ন্ত সুকুল বলেন, ‘‘এ বার মেলার পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতালের জন্য ১০৫টি শয্যা থাকবে। পৈলান থেকে থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত ২৮টি ফার্স্ট এড বুথ থাকবে। ৯টি বাফার জ়োনে ডাক্তার নার্স-সহ প্রায় ৭০০ জন স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী থাকবেন। এ ছাড়া, স্থায়ী হাসপাতালগুলিতে ২২০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হবে।
বিডিও বলেন, ‘‘মেলার কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বৈঠকে। নিয়মিত পরিদর্শন চলছে।’’ জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানান, ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে এসডিও, বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত মেলা নিয়ে বৈঠক করা হচ্ছে। ভিড় সামাল দিতে সব রকম ভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy