প্রতীকী ছবি
দলের নব্য ও পুরনো দ্বন্দ্ব ক্রমশই তীব্র আকার নিচ্ছে পদ্মশিবিরে। রবিবার বসিরহাটের সভায় দু’পক্ষের হাতাহাতি, চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারক ঘোষের নেতৃত্ব মানতে নারাজ দলের পুরনো কিছু নেতা-কর্মী। তাই নিয়েই গোলমাল।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বসিরহাট থানার কাছে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে তারক ঘোষের নেতৃত্বে বৈঠক হচ্ছিল। বেলা ১২টা নাগাদ শতাধিক বিজেপি কর্মী-সমর্থক সেখানে ঢুকে গোলমাল শুরু করে। দলের পুরনো কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। তারককে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, পরিকল্পনা করে তারক সাংগঠনিক বৈঠকে তাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন না।
উভয়পক্ষের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি, মারামারি বেধে যায়। চেয়ার-সহ অন্যান্য সরঞ্জাম আছাড় মেরে ভেঙে ফেলতে দেখা যায় কয়েকজনকে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে অনেক নেতাকে বৈঠক-মঞ্চ থেকে সরে যেতে দেখা যায়। দলের বর্তমান সভাপতির বিরুদ্ধে মহিলারাও বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের কথায়, ‘‘দীর্ঘ দিন হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত তারকবাবু দলের মহিলা মোর্চার নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পরিচয় পর্যন্ত করতে চাননি। আমাদের কোনও কার্যক্রমে ডাকছেন না।’’
জেলা সভাপতির অপসারণের দাবি তুলে বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, তারকবাবু পুরনো নেতা-কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখেন না। উপযাজক হয়ে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি ভাল ভাবে কথা বলতেই রাজি হন না। টাকি, হাসনাবাদের মধ্যে সংকীর্ণ রাজনীতি করেন বলে দলের একাংশের অভিযোগ।
তারক বলেন, ‘‘এ দিনের ঘটনার কথা আমাদের দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এর বেশি এখন কিছু বলব না।’’ দলের প্রাক্তন সভাপতি গণেশ ঘোষের কথায়, ‘‘অজানা কারণে তারকবাবু আমাদের নিয়ে দলটা করতে চান না। তাই কোনও বৈঠকে আমাদের ডাকা পর্যন্ত হয় না। দলের কর্মীরা তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে বাধ্য হয়েছেন।’’
বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুবমোর্চার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকারও। তিনি বলেন, ‘‘আসলে তৃণমূলের সঙ্গে সভাপতির একটা আঁতাত হয়েছে। সে জন্য তিনি রাস্তায় নেমে কোনও আন্দোলন করতে চাইছেন না। এটা নতুন-পুরনো সব কর্মীদেরই ক্ষোভ।’’ তারক ঘোষের অপসারণ চেয়েছেন তিনিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy