Advertisement
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
Khardah

সংস্কারের অভাবে ভগ্নপ্রায় খড়দহের গঙ্গার ঘাট

কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার কারণেই ঘাটগুলির বিপজ্জনক অবস্থা বলে অভিযোগ পুর কর্তৃপক্ষের।

শোচনীয়: ঘাট ভরেছে কচুরিপানায়। এমনই অবস্থা খড়দহের শ্যামসুন্দর ঘাটের। নিজস্ব চিত্র

শোচনীয়: ঘাট ভরেছে কচুরিপানায়। এমনই অবস্থা খড়দহের শ্যামসুন্দর ঘাটের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২০ ০৩:২৯
Share: Save:

প্রায় ১৭ বছর আগে এলাকার গঙ্গার সমস্ত ঘাটের সংস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ কয়েক বছরে ফের ঘাটগুলির ভগ্নপ্রায় দশা। তা সত্ত্বেও সেগুলির সংস্কার হচ্ছে না বলেই অভিযোগ। বড়সড় জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়ছে নদীর পাড়। এমনই বেহাল অবস্থা খড়দহে গঙ্গার পাঁচটি ঘাটের।

কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার কারণেই ঘাটগুলির বিপজ্জনক অবস্থা বলে অভিযোগ পুর কর্তৃপক্ষের। পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান কাজল সিংহ বলেন, ‘‘ঘাট সংস্কার করার সামর্থ্য পুরসভার নেই। কেন্দ্রীয় সরকার গঙ্গার ঘাট সংস্কারের টাকা দেয়। সেই অনুদান রাজ্যের মাধ্যমে পুরসভাগুলির কাছে আসে। কিন্তু কেন্দ্র তো কোনও টাকাই দিচ্ছে না।’’ ২০০৩ সালে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা খরচ করে খড়দহের ঘাটগুলি সংস্কার করেছিল কেএমডিএ।

রাসখোলা, শ্যামসুন্দর, নাথুপাল, বাবুঘাট ও ভারতীয় সঙ্ঘ ঘাট— গঙ্গার এই পাঁচটি ঘাট রয়েছে খড়দহে। সব থেকে বেহাল অবস্থা রাসখোলা ও শ্যামসুন্দর ঘাটের। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাসখোলা ঘাটে প্রতি বছর প্রায় ২০০টির মতো দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হয়। আবার শ্যামসুন্দর ঘাটের জেটি থেকে উল্টো দিকে হুগলির রিষড়ায় ফেরি পরিষেবা চালু রয়েছে। টানা লকডাউনের সময়ে বন্ধ থাকলেও এখন নিয়মিত সেই পরিষেবা চলছে। পরিকল্পনা রয়েছে খড়দহের ওই জেটি থেকে কলকাতার বাবুঘাট পর্যন্ত লঞ্চ পরিষেবার।

যদিও খড়দহ পুরসভা সূত্রের খবর, সম্প্রতি জেটি মেরামতি করার পরেই সেটি থেকে রিষড়ার ফেরি পরিষেবা চালু করা হয়েছে। বাকি যে অংশটি রয়েছে সেটিও রাজ্য পরিবহণ দফতর শীঘ্রই মেরামত করবে বলেই দাবি করেন কাজলবাবু। নাথুপাল শ্মশানের ঘাটেরও অবস্থা তথৈবচ। পানিহাটি শ্মশান বন্ধ থাকায় বারাসত, মধ্যমগ্রাম, নিউ ব্যারাকপুর থেকে শবদাহ করতে লোক আসছেন নাথুপাল শ্মশানে। কিন্তু ঘাটের চার দিক ভেঙেচুরে গিয়েছে। জোয়ারের সময়ে বোঝা দায় কোথায় কতটা ভাঙা রয়েছে। আবার রাসখোলা ঘাটের এক পাশের একটি বড় কংক্রিটের অংশ ভেঙে প্রায় জলে তলিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় এক দোকানির কথায়, ‘‘প্রতিদিনই একটু করে পাড় ভাঙছে। প্রতি বছরই দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে বিপদের আশঙ্কা করে প্রশাসন বিশেষ ব্যবস্থা রাখে।’’ কাজলবাবুর কথায়,

‘‘কেন্দ্রের উদাসীনতার জন্যই এমন বিপজ্জনক অবস্থা। রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করি নগরোন্নয়ন দফতর কোনও ব্যবস্থা করবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Khardah Ganges
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy