Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

পথ হারিয়ে ফেলা নাতনি-ঠাকুমাকে ফেরাল পুলিশ

পুলিশ জানতে পেরেছে, ক্যানিংয়ের থুমকাঠি এলাকার এক মন্দিরের বারান্দায় ঠাঁই নিয়েছিলেন ঠাকুমা-নাতনি। রবিবার রাতে তা চোখে পড়ে পুলিশের। রাতেই তাঁদের ক্যানিং থানায় আনা হয়।

 ঘরে-ফেরা: আরতি ও রত্না। নিজস্ব চিত্র

ঘরে-ফেরা: আরতি ও রত্না। নিজস্ব চিত্র

প্রসেনজিৎ সাহা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৯ ০২:৫৩
Share: Save:

দিন তিনেক আগে এক মেয়ের বাড়ি থেকে আর এক মেয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন বছর সত্তরের এক বৃদ্ধা। সঙ্গে ছিল বছর পাঁচেকের নাতনি। পথ হারান তাঁরা। তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পরে পুলিশের চেষ্টায় বাড়ি ফিরলেন দু’জন।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ক্যানিংয়ের থুমকাঠি এলাকার এক মন্দিরের বারান্দায় ঠাঁই নিয়েছিলেন ঠাকুমা-নাতনি। রবিবার রাতে তা চোখে পড়ে পুলিশের। রাতেই তাঁদের ক্যানিং থানায় আনা হয়। পুলিশ জানতে পারে, বৃদ্ধার নাম আরতি রাউত। নাতনি রত্না। সোমবার দুপুরে আরতির দুই মেয়েকে খবর দিয়ে থানায় ডেকে আনা হয়। তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পথভোলা আরতি ও রত্নাকে।

কিছু দিন আগে বাসন্তী থানার কলাহাজরা গ্রাম থেকে জীবনতলা থানার অন্তর্গত হোমড়াপলতা এলাকায় মেয়ে সুলতা দাসের বাড়িতে গিয়েছিলেন আরতি। সঙ্গে ছিল রত্না। আরতি জানিয়েছেন, নাতনিকে নিয়ে মন্দিরের বারান্দায় রাত কাটিয়েছেন। তিন দিন ধরে মানুষজনের দেওয়া খাবার, মন্দিরের প্রসাদই ছিল ভরসা।

আরতিদের থানায় এনে পুলিশ বুঝতে পারে, বৃদ্ধার স্মৃতিশক্তি কম। আশেপাশের বিভিন্ন থানায় খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে কিছু তথ্য পান তদন্তকারীরা। সেই মতো আরতির দুই মেয়ের সন্ধান মেলে।

সোমবার সকালে ক্যানিং থানা থেকে আরতির দুই মেয়ে কল্পনা জানা ও সুলতা দাসকে খবর দেওয়া হয়। দু’জনেই এ দিন দুপুরে থানায় হাজির হন। মাকে ও ভাইঝিকে খুঁজে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন তাঁরা। পুলিশের ভূমিকায় সকলেই খুশি। সুলতা বলেন, “শুক্রবার আমার বাড়ি থেকে মা ও ভাইঝি বের হন। আমার আর এক বোনের বাড়ি গোসাবায় সেখানেই যাওয়ার কথা ছিল মায়ের। কিন্তু মাঝপথে কোথায় গেলেন, কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না।’’

ক্যানিং থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে পুরো পরিবার।

অন্য বিষয়গুলি:

Police Old Woman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy