বৃদ্ধ খুনে ধৃত আসামী। নিজস্ব চিত্র।
রায়দিঘিতে বৃদ্ধকে খুনের ঘটনার কিনারা করল সুন্দরবন জেলা পুলিশ। গত মঙ্গলবার গিলারছাটের বৈদ্যপাড়া থেকে কাছেদ আলি বৈদ্য নামে এক বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষ টিম গঠন হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনে যুক্ত থাকার সন্দেহে শাহাবুদ্দিন শেখ(৩৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় ধৃত যুবক খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। টাকা-পয়সার লেনদেনের জন্যই এই খুন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জোনাল) সন্তোষকুমার মণ্ডল বলেছেন, ‘‘ধৃতকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। তাকে জেরা করে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে গোপনে এলাকায় সুদের ব্যবসা চালাচ্ছিলেন কাছেদ আলি বৈদ্য। বেশ কয়েক মাস আগেই তাঁর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিল প্রতিবেশী যুবক শাহাবুদ্দিন। কিন্তু একাধিক বার চাওয়ার পরেও টাকা ফেরত দিতেশাহাবুদ্দিন বেঁকে বসে বলে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার কাছেদ ফের শাহাবুদ্দিনের কাছে টাকা চাইতে যান। কিন্তু শাহাবুদ্দিন টাকা দিতে না পারায় প্রকাশ্যে তাকে চড় মারেন কাছেদ। সেই অপমানের প্রতিশোধ নিতে ওই দিনই কাছেদকে ডেকে পাঠায় শাহাবুদ্দিন। আনুমানিক রাত ৯.৩০ নাগাদ ফাঁকা রাস্তার ধারে বৃদ্ধের মাথায় ইট দিয়ে মেরে খুন করে শাহাবুদ্দিন। পরে বৃদ্ধের দেহটি লোপাটের চেষ্টাও করেছিল সে। কিন্তু সেই সময় এলাকার বেশ কিছু মানুষ চলে আসায় দেহটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় শাহাবুদ্দিন। পরে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার নিহত বৃদ্ধের ছেলে মাফুজ আলি বৈদ্য রায়দিঘি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার তদন্তের জন্য সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপির নির্দেশে মন্দিরবাজারের ডিএসপি এবং সিআই-এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ দল গঠিত হয়। তদন্ত চলাকালীনই পুলিশ জানতে পারে, ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শাহাবুদ্দিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছে। শুক্রবার রাতে নাকা চেকিং চলার সময় আটেশ্বরতলার কাছ থেকে ধরা পড়ে শাহাবুদ্দিন। রায়দিঘি থেকে কলকাতা হয়ে সে ভিন রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন, তথ্য লোপাট-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy