—প্রতীকী চিত্র।
শাসন থানা এলাকায় গণপিটুনির ঘটনায় চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। গত বুধবার ভোরে ওই থানা এলাকার গোলবাড়ির কাছে টাকি রোডের ধারে এক ব্যক্তি গণপিটুনির শিকার হন বলে অভিযোগ। লরি থেকে তেল চুরির অভিপ্রায়ে উমেশ কুমার নামে ওই ব্যক্তি সেখানে ঘুরছিলেন, এমনই সন্দেহে গ্রামের লোকজন তাঁকে ধরে বেদম মারধর করেন। অভিযোগ, তাঁর গায়ের উপরে মোটা মোটা বাঁশ ও গাছের ডাল ভাঙা হয়। তাঁর গায়ে জ্বালানি ঢেলে দেওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ ওঠে। শাসন থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে গেলেও ঘটনাটি তাদের এলাকার নয় বলেই বুধবার সন্ধ্যায় জানিয়েছিল। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে বারাসত পুলিশ জেলার পদস্থ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থল সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়ে শাসন থানাকেই তদন্তের নির্দেশ দেন। তার পরেই বৃহস্পতিবার চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম ওবাইদুল হক, মুসা আলি, জাহির হোসেন ও কামালউদ্দিন। বারাসত পুলিশ জেলার সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, ধৃতদের বিরুদ্ধে ওই ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। আরও ক’জন ওই মারধরের পরিকল্পনায় ছিল, তার খোঁজ চলছে।
উল্লেখ্য, উমেশ কুমার নামে ওই ব্যক্তি বিহারের বাসিন্দা। পুলিশ জেনেছে, বর্তমানে তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় থাকেন। কিন্তু ওই সকালে তিনি কী কাজে মহেশতলা থেকে গোলবাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন, উমেশের কাছে তা জানতে চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
গত বুধবার সকালে উমেশকে ওই এলাকায় মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, গরু পাচারের লরির তেল চুরির চেষ্টা করতে গিয়ে উমেশ ধরা পড়েন। তাঁকে সাতসকালেই শাসন থানার পুলিশ উদ্ধার করে। কিন্তু পরে তারা ঘটনার কথা অস্বীকার করে। এমনকি, ঘটনাটি দত্তপুকুর থানা এলাকায় ঘটেছে বলেও দাবি করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy