ফাইল চিত্র
গত দু’বছরে বেশ কয়েকবার লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটেছে সুন্দরবন জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। লোকালয়ের পাশে টানা কয়েক দিন রয়্যাল বেঙ্গলের ঘাপটি মেরে থাকারও উদাহরণ রয়েছে চলতি বছরে। তবে প্রত্যেক ক্ষেত্রেই ব্যাপক হয়রানির পর বাঘকে নিরাপদে খাঁচাবন্দি করে নিজের আশ্রয়ে ফিরিয়ে দিতে পেরেছে বন দফতর। লোকালয়ের কাছাকাছি বাঘ চলে এলে তার মোকাবিলায় বন দফতরের পাশাপাশি তৎপর থাকতে হয় পুলিশকেও। তাই, বারুইপুর পুলিশ এবং বন দফতরের যৌথ উদ্যোগে বাঘ এবং বন্যপ্রাণ নিয়ে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হল। সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘বাঘ বেরিয়ে পড়লে বন দফতরের সঙ্গে পুলিশকেও কাজ করতে হয়। বিশেষ করে আমাদের জেলার ৫টি থানা এলাকার পাশে জঙ্গল রয়েছে। তাই বন দফতরের সহযোগিতায় বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়৷’’
বারুইপুর পুলিশ জেলার মধ্যে গোসাবা, সুন্দরবন উপকূল থানা, কুলতলি থানা, মইপিঠ উপকূল থানা ও ঝড়খালি উপকূল এই পাঁচটি জঙ্গল সংলগ্ন থানা এলাকায় কয়েকশো মানুষের বসবাস। এই এলাকাগুলিতে বাঘ ঢুকে পড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এই সব এলাকারই পুলিশ আধিকারিক এবং সিভিক ভলেন্টিয়াররা অংশ নিয়েছিলেন এই কর্মশালায়। গ্রামে বাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা ঘটলে পুলিশের ভূমিকা কী হবে, তাঁরা বনকর্মীদের কী ভাবে সাহায্য করবে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দূরে সরিয়ে কী ভাবে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে— এ সবই ছিল কর্মশালার আলোচনার বিষয়৷
অনেক সময়েই বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। পরে দেখা যায় বাঘ নয়, বাঘরোলের পায়ের ছাপ। তাই পশুদের পায়ের ছাপ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়৷
বুধবার বারুইপুর এসপি অফিসের প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই কর্মশালায় বন বিভাগের তরফে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) মিলন মণ্ডল, এবং এডিএফও অনুরাগ চৌধুরী। মিলন বলেন, ‘‘বাঘ গ্রামে ঢুকলে বন ও পুলিশকর্মী উভয়কেই কাজ করতে হয়। কী ভাবে তৎপরতার সঙ্গে এই কাজ করা সম্ভব, তা নিয়েই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy