সরেজমিন: গ্রামে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র
আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমায় পা রাখল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ১০টা নাগাদ বিডিও অফিস থেকে নদীপথে লঞ্চে দলটি যায় অচিন্ত্যনগর পঞ্চায়েত এলাকায়। প্রধান-সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বৈঠক করেন দলের সদস্যেরা। কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। প্রায় দু’ঘণ্টা পঞ্চায়েতে ছিলেন।
সেখান থেকে বেরিয়ে ব্লক ও পঞ্চায়েত আধিকারিকদের নিয়ে দলটি গ্রামে যায়। সদস্যেরা কিছু বাড়িতে গিয়ে কথা বলেন আবাস যোজনা প্রকল্পের আবেদনকারীদের সঙ্গে। গ্রামবাসীদের থেকে জানতে চান, কত দিন আগে ঘরের আবেদন করেছিলেন। কী কারণে প্রকল্পের সুবিধা এখনও পাননি। বেলা ৩টে নাগাদ প্রতিনিধি দলটি পৌঁছয় হেড়ম্ব গোপালপুর পঞ্চায়েতে। সেখানেও কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন তাঁরা। কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে তথ্য যাচাই করেন।
বিরোধীদের অভিযোগ, দু’টি পঞ্চায়েত এলাকায় একাধিক বাড়িতে ‘বাংলা আবাস যোজনা’ লেখা ছিল। রাতারাতি তা মুছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লেখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দলের সদস্যেরা পঞ্চায়েত প্রধানদের দেখানো কিছু তৃণমূল কর্মীর বাড়িতেই গিয়েছিলেন। বাকি এলাকায় যাননি।
পাথরপ্রতিমা এলাকার বিজেপি কর্মী নন্দলাল বারুই বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় দল এসেছে ঠিকই, কিন্তু বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধানের কথা শুনে নির্দিষ্ট কয়েকটি বাড়িতে গিয়েছিল। আমরা অভিযোগ জানাতে গিয়েও পারিনি। প্রকৃত তদন্ত না করেই ফিরে গেলেন ওঁরা। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অভিযোগ জানাব।’’
তৃণমূল পরিচালিত অচিন্ত্যনগর পঞ্চায়েতের প্রধান দুখিশ্যাম শিট বলেন, ‘‘যে সব বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে বা কিছুটা তৈরি হয়েছে এমন ১০টি বাড়িতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। নদীবাঁধের কাজ ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাজকর্মের কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। সব ক্ষেত্রেই ওঁরা খুশি হয়েছেন।’’ বাংলা আবাস যোজনার নাম মুছে রাতারাতি কেন্দ্রীয় নাম লেখা হয়েছে, এই অভিযোগ মানেননি তিনি।
পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীরকুমার জানা বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলার জন্য কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়েছে। যাতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসকদলকে চাপে ফেলা যায়। বিভিন্ন খাতে টাকা না দেওয়ার এটা একটা পরিকল্পনা। দু’টি পঞ্চায়েত এলাকা ঘুরে দেখেছে দল। তেমন কোনও অভিযোগ পায়নি। বিরোধীরা মিথ্যে অভিযোগ করছে রাজনীতি করার জন্য। ওদের পায়ের তলায় মাটি নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy