বিধিভঙ্গ: লকডাউনের আগে বহরমপুরের পথে যাত্রা বাসের ছাদে চড়েই। শুক্রবার, বারাসতে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
করোনা সংক্রমণের হার কমাতে আজ, শনিবার থেকে বারাসত পুর এলাকায় সাত দিনের পূর্ণ লকডাউন চলবে। এর আগে সাত দিন আংশিক লকডাউন থাকার পরে, গত বুধবার সর্বদলীয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৃহস্পতিবার গোটা রাজ্যেই ছিল লকডাউন। ওই দিন অধিকাংশ বাসিন্দাই লকডাউনের বিধি মেনেছেন। তবে শুক্রবার বাজার-দোকান খোলা থাকায় জিনিসপত্র মজুত করার জন্য বারাসতের অধিকাংশ বাজারে ভিড় হয়। শিকেয় ওঠে দূরত্ব-বিধি।
এ দিন বারাসতের চাঁপাডালি, কলোনি মোড় এলাকায় দেখা যায়, মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা করছেন কিছু মানুষ। তবে বাজারে পুলিশ টহল দিচ্ছে দেখে তাঁরা পকেট থেকে মাস্ক বার করে পরে নেন। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন কাউকে গ্রেফতার করা না হলেও মাস্ক না পরে বাইরে বেরোনোর কারণে কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।
সকালে মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় কলকাতার বাস ধরার জন্য কয়েক জন দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের মধ্যেও কয়েক জনের মাস্ক ছিল না। পুলিশ তাঁদেরও সতর্ক করে। শনিবার থেকে পূর্ণ লকডাউন শুরু হবে বলে এ দিন সে ভাবে
কোনও গাড়ি-বাইক আটকানো হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই দুই পুর এলাকার পাশাপাশি এ দিন নিউ ব্যারাকপুরে পুলিশ এবং পুর কর্মীরা সচেতনতার প্রচার চালান। শনিবার থেকে লকডাউনের বিধি মানা এবং মাস্ক পরে বেরোনোর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মাইকে প্রচার করা হয়।
বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বারাসতের বিভিন্ন বাজারে ভিড় থাকলেও এ দিন কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের টহলদারি চলেছে। তবে গাড়িঘোড়া আটকানো হয়নি। মাস্ক ছাড়া বাইরে আসায় কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে।’’
এ দিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় করোনা সংক্রমণের হার এখনও ঊর্ধ্বমুখী। দেগঙ্গায় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত ও বনভূমি — এই দুই কর্মাধ্যক্ষ সংক্রমিত হওয়ার পরে করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরও। এর জেরে বন্ধ রাখা হয়েছে দেগঙ্গা ব্লক অফিসের মূল গেট। এ বিষয়ে দেগঙ্গার বিডিও সুব্রত মল্লিক জানান, গোটা দেগঙ্গা জুড়েই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন কড়া ভাবে বলবৎ হবে।
এ দিন থেকেই বারাসত পুর এলাকায় চালু হল এলাকার প্রথম করোনা হাসপাতাল। বেসরকারি ওই হাসপাতালে উপসর্গযুক্ত রোগীদের রাখা হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে এ দিন জানানো হয়েছে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy