জলমগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু এলাকা। —নিজস্ব চিত্র।
এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। একে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে ভাসছে সুন্দরবন এবং উপকূল এলাকা। গ্রামীণ এলাকা তো বটেই জলমগ্ন জেলার একাধিক শহরের বহু এলাকাও। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সাধারণ জনজীবন। তার উপর এই পরিস্থিতিতেই বুধবার কোজাগরী পূর্ণিমা। সেই সময় শুরু হবে কটালও। ফলে ওই দিন নদী এবং সমুদ্রে জলস্ফীতির আশঙ্কা রয়েছে। তা নিয়েই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন সুন্দরবনবাসী।
চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই অংশ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কবলে পড়েছিল। সেই সময় কটালের জলস্ফীতিতে ক্ষয়ক্ষতি আরও বৃদ্ধি পায়। সেই স্মৃতি এখনও তাজা নদী ও সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষের মনে। রবিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে ইতিমধ্যেই কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, নামখানা এবং সাগরের নিচু এলাকায় জল জমেছে। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবার, সোনারপুর, বারুইপুর এবং মহেশতলা পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডও জলমগ্ন।
সুন্দরবনের সাগর ব্লকের সাউঘেরি, মুড়িগঙ্গা, বোটখালির কয়েকটি জায়গায় জল জমে রয়েছে। কাকদ্বীপের স্টিমারঘাট, তিলকচন্দ্রপুর, ৮ নম্বর লট, মৌসুনি দ্বীপ এবং ঘোড়ামারা দ্বীপের নিচু এলাকাগুলি পুরোপুরি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ডায়মন্ড হারবার দুই নম্বর ব্লকের হুগলি নদীর তীরবর্তী নুরপুরের শ্রীফলবেড়িয়া এবং রায়চকের কলাগাছিয়া, সরিষা এবং পাতড়া এলাকা জলমগ্ন। এই জেলার মূল অর্থকরী ফসল ধান এবং পান। টানা বৃষ্টিতে বহু জায়গার ধান জমি এবং পানের বরজে জলে ডুবে গিয়েছে। তার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। আগামী ২৪ ঘণ্টাতেও এই জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে উপকূল এবং দ্বীপাঞ্চলের বহু এলাকা নতুন করে জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খারাপ আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলারগুলিকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য দফতর। ইতিমধ্যেই কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা এবং রায়দিঘির ঘাটে ফিরছে ট্রলারগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy