এই বাঁধ নিয়ে আশঙ্কায় এলাকার মানুষ। ছবি: নবেন্দু ঘোষ
দুর্বল নদীবাঁধ নিয়ে এখনও চিন্তিত গ্রামের মানুষ। একফালি সুতোর মতো টিঁকে আছে বাঁধ, জানাচ্ছেন তাঁরা।
সন্দেশখালির মণিপুর পঞ্চায়েত এলাকায় রায়মঙ্গল নদীর নদীবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি বৃহস্পতিবারও। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, মাটি কাটার যন্ত্র বাঁধের কাছে পৌঁছতে না পারায় বিকেল পর্যন্ত বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে মণিপুর পঞ্চায়েতের বোয়ালিয়াচক থেকে চিমটা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩০০ ফুট বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বাঁধটি দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ ছিল। মঙ্গলবার থেকে ঢেউয়ের ধাক্কায় বাঁধের মাটি ধসে বিভিন্ন অংশে একেবারে সরু হয়ে গিয়েছে। জোরে ঢেউ এলে কয়েকটি জায়গা থেকে জল উপচেও পড়ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন, বাঁধের পাশে রয়েছে কয়েকশো বিঘা চাষের জমি। বাঁধ ভাঙলে ধান ও মাছ চাষের ক্ষতি হবে। অভিযোগ, দিন তিনেক ধরে বিপজ্জনক অবস্থা বাঁধের। সব জেনেও বাঁধ সংস্কারে ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান প্রসেনজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বাঁধ সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে সেচ দফতর। দু’টি মাটি কাটার যন্ত্র পাঠানো হয়েছে। যন্ত্র দু’টি বৃহস্পতিবার সকালেই এলাকায় চলে এসেছে। কিন্তু বাঁধের কাছে পৌঁছনোর পথ না পেয়ে কাজ শুরু করতে পারেনি। সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।”
ওই এলাকা ছাড়াও আশেপাশের কয়েকটি এলাকায় বাঁধের অবস্থা বিপজ্জনক বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রধান জানান, সমস্ত বাঁধে মাটি দেওয়ার কাজ যত দ্রুত সম্ভব করার কথা সেচ দফতরকে জানানো হয়েছে।
এ দিন সকালে সন্দেশখালি ১ ব্লকের শেয়ারা রাধানগর পঞ্চায়েতের নিত্যবেড়িয়া গ্রামে নদীবাঁধে গর্ত হয়ে জল ঢুকতে শুরু করে। ওই অংশেও বিকেল পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি। এই ব্লকের অন্য কয়েকটি এলাকাতেও বাঁধের অবস্থা উদ্বেগজনক। ন্যাজাট ২ পঞ্চায়েত এলাকা জুড়ে বেতনি নদীর বাঁধ বেহাল হয়ে পড়েছে। বানতলা, পাটনিপাড়া, ভোলাখালি, দক্ষিণ কালীনগর, ৪ নম্বর পাড়া, গাজিখালি এলাকায়ও নদীবাঁধের খারাপ অবস্থা।
সন্দেশখালি ১ বিডিও সুপ্রতিম আচার্য বলেন, “বাঁধের সমস্যার খবর আমরা যা পাচ্ছি, সেচ দফতরকে জানিয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছে সেচ দফতর।” বসিরহাটের সেচ দফতরের আধিকারিক রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মণিপুর পঞ্চায়েত-সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy