স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম নবি। নিজস্ব চিত্র
কাটমানি না দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। দেগঙ্গার চাঁপাতলা পঞ্চায়েত এলাকার ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম নবির দাবি, ২০২১ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন। বাড়ির কাজ শুরু করেন। তাঁর অভিযোগ, সে সময়ে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যকে দু’হাজার টাকা কাটমানি দিতে হয়েছিল।
কয়েকদিন পরে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা তোলার সময়ে ১০ হাজার টাকা কাটমানি চাওয়া হয় বলে অভিযোগ গোলামের। টাকা না দেওয়ায় তাঁর দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আটকে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ফলে বাড়ি তৈরির কাজও মাঝপথে আটকে রয়েছে।
গোলাম বলেন, “প্রথমবার ওই সদস্য দু’হাজার টাকা চেয়েছিলেন। দিয়েও দিই। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা নেওয়ার সময়ে ১০ হাজার টাকা চাইছেন। এত টাকা দিতে না পারায় এক বছর ধরে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা আটকে রাখা হয়েছে।’’
এ ব্যাপারে কয়েক মাস আগে তিনি পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে দাবি গোলামের। তবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যে অভিযোগের প্রতিলিপিও হারিয়ে ফেলেছেন।
পঞ্চায়েত সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, এ সংক্রান্ত কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে ওই পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “আমাকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। ওঁর নামের গন্ডগোলের কারণে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। বিষয়টি খুব শীঘ্রই মিটে যাবে।”
নাম-সংক্রান্ত সমস্যার কথা শুনে গোলাম বলেন, “নামে গোলমাল থাকলে প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকল কী ভাবে?”
এ বিষয়ে বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, “যেদিন থেকে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে, সেদিন থেকেই কাটমানি প্রথা চালু হয়েছে।”
চাঁপাতলা পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের হুমায়ুন রেজা চৌধুরীর কথায়, “লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মনে হয় পঞ্চায়েতকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy