তৃণমূলের এই কার্যালয়ে মারামারি হয় বলে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে তৃণমূলের কাউন্সিলর এবং তাঁর ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠল ঘাসফুল শিবিরেরই এক ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে এ নিয়ে উত্তেজনা উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে। ‘আক্রান্ত’ কাউন্সিলরের অভিযোগ, দলের সমর্থক তাঁকে সাধারণ কিছু কথাবার্তার পর মারধর করেছেন। অন্য দিকে, অভিযুক্তের দাবি, তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট আনতে যেতে তাঁর ‘বাপবাপান্ত’ করেন ওই কাউন্সিলর। তাঁকেই মারধর করেছেন কাউন্সিলর এবং তাঁর ছেলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ব্যারাকপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক।
ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের অভিযোগ, ভাটপাড়া গোলঘর এলাকায় তাঁকে এবং তাঁর ছেলেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মারধর করেছেন জনৈক দেবরাজ দাস। তিনি এ নিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অন্য দিকে, দেবরাজ নিজেকে যুব তৃণমূলের নেতা বলেই পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর দাবি, রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটের জন্য কাউন্সিলরের কাছে গেলে তাঁকে গালিগালাজ করেন সত্যেন। তার প্রতিবাদ করায় কাউন্সিলর এবং তাঁর ছেলে মিলে তাঁকে মারধর করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রীর জন্য রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট আনতে গিয়েছিলাম। কাউন্সিলর আমায় বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিতে এসেছিস কেন। তোর বাবা সোমনাথ শ্যাম, টিঙ্কু ঘোষ দেবে। আমি কেন দেব?’ আমি বললাম, ‘তৃণমূলের পার্টি অফিসে বসে বিজেপি প্রার্থীর নাম করছেন কেন? তখনই আমাকে মারধর করেছেন।’’’
অন্য দিকে, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেছেন, ‘‘নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেটা আমরা মিটিয়ে নিচ্ছি।’’ ওই কাউন্সিলরের দাবি, পার্টি অফিসে সাধারণ কথাবার্তা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেছেন দেবরাজ। তিনি দেবরাজের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘যখন অর্জুন সিংহ তৃণমূলে ছিলেন, তখন তাঁর সঙ্গে ছিলাম। ওই ছেলেরা পার্থদাকে হারানোর জন্য এ সব করছে। এরা কোনও পার্টি করে না। গাঁজা পার্টি করে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy