(বাঁ দিকে) আলতাফের শরীর থেকে উদ্ধার হওয়া গুলি। প্রকাশ্যে আসা সিটিটিভি ফুটেজের দৃশ্য। — নিজস্ব চিত্র।
বসিরহাটে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত আয়ুব গাজির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল বসিরহাট থানায়। অভিযোগটি করেছেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী আলতাফ মালির বাবা। আলতাফের উপর হামলা চালানোর সময়ের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োতে ধরা পড়েছে আলতাফকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছেন অভিযুক্ত আয়ুব। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বসিরহাট থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে আসা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাসনাবাদ থানা, হিঙ্গলগঞ্জ থানা, বাদুড়িয়া থানা, ন্যাজাট থানা, মিনাখা থানা-সহ একাধিক থানায় পাঠিয়েছে। বসিরহাট যেহেতু বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া শহর, সেই কারণে সীমান্তবর্তী এলাকাতেও কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে আরজিকর হাসপাতালে আলতাফের অস্ত্রোপচার হয়েছে। যে গুলি তাঁর শরীর বিদ্ধ করেছিল, তা দেহ থেকে বার করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে, আলতাফ আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। শুক্রবার তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করতে পারবেন বলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল কর্মী আলতাফ বসিরহাট থানার পিফা এলাকার বাঁশতলার একটি দোকানে এসেছিলেন। এলাকায় তিনি ঠিকাদারির কাজ করতেন। দোকানে কেনাকাটার সময় আচমকাই পিছন থেকে এসে আলতাফকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়েরা। দুষ্কৃতীকে ধরতে কয়েক জন তাড়া করেন। সে সময়ই অভিযুক্তের সঙ্গে থাকা ব্যাগ এলাকারই একটি দোকানের সামনে ফেলে পালান বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যাগে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা ছিল। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বসিরহাট থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ওই বোমা ভর্তি ব্যাগ উদ্ধার করে।
তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। শুক্রবার রাতে বসিরহাটের পিফা এলাকায় ন্যাজাট রোডে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। শঙ্করপুর এলাকায় একটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ওই দোকানে ‘ওঠাবসা’ ছিল আয়ুবের। শনিবার সকাল থেকেও শুনশান বসিরহাটের পিফা এলাকা। যে জেরক্সের দোকানে গুলি চলে, সেটিও বন্ধ। এলাকার মানুষের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy