দুশ্চিন্তা: কালীপদের অপেক্ষায় তাঁর পরিবার। ছবি: সমরেশ মণ্ডল
ফের বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেল একটি মাছ ধরার ট্রলার। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের কেঁদো দ্বীপ থেকে আরও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে। ঘটনায় নিখোঁজ এক মৎস্যজীবী।
কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, মাঝ সমুদ্রে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে অন্য একটি ট্রলার ধাক্কা মারে এফবি সত্যনারায়ণ নামে ওই ট্রলারটিকে। এর ফলে পাটাতন ফেটে জল ঢুকে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ২০ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। আশেপাশের কয়েকটি ট্রলার ১৯ জনকে উদ্ধার করে। তবে কালীপদ দাস নামে এক মৎস্যজীবীর খোঁজ মেলেনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার হওয়া ১৯ মৎস্যজীবীকে ফিরিয়ে আনা হয় নামখানা ঘাটে। কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝি শ্যামল দাস বলেন, “কেঁদো দ্বীপ থেকে কিছুটা দূরে দু’টি ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। তখন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। মিনিট খানেকের মধ্যেই আমাদের ট্রলারটি ডুবতে শুরু করে। আমরা ২০ জন সমুদ্রে ভেসে যাই। কালীপদ আমার সঙ্গেই ছিল। আমার ১৯ জন উঠে পড়লেও, তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।”
নিখোঁজ মৎস্যজীবী কালীপদদাস কাকদ্বীপের অক্ষয়নগরের বাসিন্দা। বৃদ্ধ বাবা, স্ত্রী ও ছোট দুইছেলে-মেয়েকে নিয়ে তাঁর সংসার। কালীপদই পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। এ দিন তাঁর নিখোঁজ হওয়ার খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, “দু’টি ট্রলারের সংঘর্ষ হয়েছে। প্রচুর বৃষ্টির ফলেই এই ঘটনা ঘটে। ডুবে যাওয়া ট্রলার ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীর খোঁজ চালানো হচ্ছে।”
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy