—প্রতীকী চিত্র।
সকলেই যে পাশ করবে, পরীক্ষার আগে থেকেই সেই আবহ তৈরি ছিল। ফলে মঙ্গলবার পঞ্চায়েত ভোটের গণনার শেষ বেলায় শাসক দলের নেতারাই আক্ষেপের সুরে বলেছেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে মাটি কতটা পোক্ত, তা বোঝার জন্য এ বার প্রার্থীদের যে জনসংযোগ প্রয়োজন ছিল, তার ন্যূনতমও হয়নি ভোটের প্রচারে। তা অবশ্য কাঙিক্ষত ফলের ক্ষেত্রে বাধা হয়নি। ব্যারাকপুর ১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে ১৪টি পঞ্চায়েতের মোট ৩৪৯টি আসনের মধ্যে ৩৪৪টিতেই তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী হয়েছে। চুম্বকে এটাই হল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শাসক দলের ফল।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই হাল ছেড়েছিলেন বিরোধীরা। ভোটের দিন রাজ্যপালের উপস্থিতিতে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়েছিল। তাতে অবশ্য ‘ভবিতব্য’ বদলায়নি।
কড়া নিরাপত্তায় এ দিন ব্যারাকপুর ১ ব্লকের আটটি পঞ্চায়েতের ভোট গণনা হয় পানপুর মাখনলাল হাইস্কুলে। প্রথম রাউন্ড গণনার সময়েই বাতিল ভোটগুলি তৃণমূলের খোপে রাখা হচ্ছে বলে বার বার আপত্তি জানান স্থানীয় মামুদপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী বরুণ সর্দার। শেষে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাঁকে বার করে দেয় পুলিশ।
এ দিন গণনা চলাকালীনই কার্যত বিরোধীশূন্য হয়ে যায় গণনা কেন্দ্র। প্রার্থীদেরও দেখা মেলেনি। বিজেপির রাজ্য নেত্রী ফাল্গুনী পাত্র নিজে মামুদপুর পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর বুথে এজেন্ট ছিলেন। ওই এলাকায় শাসক দলের চ্যালেঞ্জ ছিল, তৃণমূল প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা মালাকারকে জেতানোর। ১২২ ভোটে প্রিয়াঙ্কার জয়ের খবর আসতেই শুরু হয়ে যায় আবির খেলা।
ব্যারাকপুর ২ ব্লকের মোহনপুর পঞ্চায়েতে যে নির্দল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চলেছিল, সেই অরিজিৎ দাস জয়ী হয়েছেন। শিউলির যে আসনে পুনর্নির্বাচন হল, সেখানে সিপিএম প্রার্থী জিতেছেন। এই বিষয়টি সামনে এনে সিপিএম অভিযোগ করেছে, ভোট দেওয়ার অধিকার নাগরিকের হাতে থাকলে ফল এমন একপেশে হত না।
যদিও রাজ্যের মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের কথায়, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথী ইত্যাদি প্রকল্প গ্রামবাংলায় সাড়া জাগিয়েছে। তারই প্রতিফলন এই ফল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy