ঘর থেকে এক বৃদ্ধার ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
ঘর থেকে এক বৃদ্ধার ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়ার বিড়া অম্বেডকরনগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পুষ্পরানি ঘোষ (৬৬)। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধার গলায় সব সময়ে একটি সোনার চেন থাকত। দেহ উদ্ধারের সময়ে সেটি ছিল না। পুলিশ দেহ ময়না তদন্তের জন্য বারাসত জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা বাড়িতে একাই থাকতেন। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মায়ের দেখাশোনা করতেন ছেলে রন। কাজের সুবিধার জন্য তিনি বিড়া রেলবস্তিতে থাকেন। কখনও সুপুরি বিক্রি করেন, কখনও রঙের কাজ করেন। অবিবাহিত যুবক রোজ মায়ের কাছে এসে খেয়ে যেতেন।
শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ মায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন রন। বেলা পৌনে ৩টে নাগাদ বাড়িতে গিয়ে দেখেন, দরজা বাইরে থেকে ছিটকিনি দেওয়া। মাকে ফোন করেন। বাইরে থেকেই ঘরের মধ্যে বাজতে থাকা ফোনের রিং-টোন শুনতে পান তিনি।
ছিটকিনি খুলে ভিতরে গিয়ে দেখেন, মা রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন। মাথা মুখ থ্যাঁতলানো। বৃদ্ধার হাতে টর্চ ধরা। শাড়িতে রক্ত মাখা ছিল। খবর পেয়ে আশপাশের লোকজন আসেন। স্থানীয় চিকিৎসককে ডেকে আনা হয়। তিনি বৃদ্ধাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
প্রতিবেশীরা জানান, পাড়ার সকলের সঙ্গেই বৃদ্ধার সুসম্পর্ক ছিল। পড়শি অপর্ণা দেউড়ি বলেন, ‘‘উনি ভাল মানুষ ছিলেন। ওঁর নাতি ওঁকে প্রায় ৩৬ গ্রাম ওজনের একটি সোনার চেন দিয়েছিলেন। তিনি সব সময়ে সেটি পরে থাকতেন।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করছেন, দুষ্কৃতীরা হয় তো সোনার চেনটি ছিনিয়ে নিতেই এসেছিল। বৃদ্ধা বাধা দেওয়ায় বা তাদের চিনে ফেলায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করে চেন নিয়ে পালায় তারা। টর্চলাইট দিয়ে বৃদ্ধা আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy