বিপত্তি: জল দেওয়া হয়েছিল প্লাস্টিকের প্যাকেটে। ছিঁড়েও পড়ল তা। হাবড়ায়। ছবি: সুজিত দুয়ারি
দুই ২৪ পরগনার নতুন আক্রান্তদের সিংহভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। ভিন্ রাজ্য থেকে শ্রমিকেরা ফেরার পর থেকেই আক্রান্তদের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দিন যত গড়াচ্ছে দুই জেলায় করোনা মানচিত্রে লাল বিন্দুর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। বুধবার বসিরহাটে ৩০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা গোসাবার এক শ্রমিকের রিপোর্টও পজিটিভ। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিভৃতবাস কেন্দ্র নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষোভের কথাও সামনে আসছে। হাবড়া এবং হিঙ্গলগঞ্জে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার হাসনাবাদে ৩৫০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। মিনাখাঁ ব্লকে গত দু’দিনে শতাধিক পরিযায়ী শ্রমিক এসেছেন। হিঙ্গলগঞ্জের নেবুখালিতে তামিলনাড়ু-ফেরত এক শ্রমিকের উপসর্গ থাকায় সোমবার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। রিপোর্ট না এলেও তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্রের একই শৌচাগার পুরুষ ও মহিলা সকলকেই ব্যবহার করতে হচ্ছে। এমনকী, তাঁদের খাবার দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বুধবার হাবড়ার কুমড়া পঞ্চায়েতের দক্ষিণ নাংলার নিভৃতবাস কেন্দ্রের জনা ষাটেক পরিযায়ী শ্রমিক বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, পানীয় জলের মান খারাপ। বেশিরভাগ শ্রমিকের স্বাস্থ্যপরীক্ষা হয়নি। তাঁদের মাত্র আটজনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে। কেউ যদি আগে থেকে সংক্রমিত হয়ে থাকেন, তা হলে বাকিরাও সংক্রমিত হবেন বলে তাঁদের আশঙ্কা। শ্রমিকদের পরিবার থেকেই এই কেন্দ্রে তিন বেলা খাবার ও পানীয় জল আসছে। পঞ্চায়েতের প্রধান রত্না বিশ্বাস জানান, সরকারি নির্দেশ নেই বলে তাঁদের খাবার ব্যবস্থা করা হয়নি। এ দিন স্বাস্থ্যকর্মীরা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে এলে শ্রমিকেরা তাঁদের কেন্দ্রের ভিতরে আসার দাবি জানান। স্বাস্থ্যকর্মীরা ঢুকতে রাজি না হওয়ায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাননি শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার গোসাবায় মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা এক শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁকে ক্যানিং কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার ক্যানিং মহকুমায় প্রায় চারশো পরিযায়ী শ্রমিক ফিরেছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে সকলকেই বাড়িতে ১৪ দিন নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কুলতলি ব্লকে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও দিল্লি থেকে ফেরা শ্রমিকদেরই নিভৃতবাস কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে। তবে অনেকেই নিভৃতবাস কেন্দ্র থেকে বাড়ি চলে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। শ্রমিকদের অভিযোগ, ওই কেন্দ্রগুলিতে খাবার মিলছে না। বেশিরভাগ কেন্দ্রে জল, বিদ্যুৎও নেই।
কোয়রান্টিন কেন্দ্রে অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে ক্ষোভ আছে অন্যত্রও। গাইঘাটার সুটিয়ায় কোয়রান্টিন কেন্দ্রে খাবার, বিদ্যুতের সমস্যা আছে বলে ক্ষোভ জানান শ্রমিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy