Advertisement
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে হাবড়ায়, পুরসভার ভূমিকায় অসন্তোষ

জ্বরের দাপট, শয্যা বাড়ছে হাসপাতালে

হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়াতে এ বার পদক্ষেপ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার হাসপাতালে আসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

হাসপাতালে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

হাসপাতালে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবড়া শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৯ ০২:৫১
Share: Save:

জ্বর-ডেঙ্গিতে কাঁপছে হাবড়া-অশোকনগর। রোজই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর শয্যা না মেলায় ঠাঁই হয়েছে মেঝেয়। একটি শয্যায় তিন-চার এক সঙ্গে থাকছেন।

হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়াতে এ বার পদক্ষেপ করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শনিবার হাসপাতালে আসেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারও হাবড়ার পরিস্থিতি জানে।’’

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৩১৮ জন রোগী। তার মধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৭০। যদিও হাসপাতালে সব ওয়ার্ড মিলিয়ে শয্যাসংখ্যা ১৩১। শুক্রবার দুপুরে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন হাবড়ার বাসিন্দা ধীমানকান্তি মল্লিক। তিনি কলকাতার নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্ত্রী শম্পা বলেন, ‘‘হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের যা পরিস্থিতি, তাতে রোগীকে মেঝেয় থাকতে হচ্ছে।’’ স্বামীকে সে কারণেই নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।

শয্যা বাড়ানোর পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা আরও বাড়ানো হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন। কেন হাবড়াতেই প্রতি বছর ডেঙ্গি প্রকোপ ছড়াচ্ছে? অজয় বলেন, ‘‘কয়েকটি এলাকাকে আমরা শনাক্ত করেছি। কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। নিজের বাড়ির আশেপাশর এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’’ স্বাস্থ্য অধিকর্তা বলেন, ‘‘এডিস মশার একটা সুবিধা হল, তারা সারা জীবনে ১০০-২০০ মিটারের বেশি উড়তে পারে না। ফলে একটি বাড়ি, খুব বেশি দু’তিনটি বাড়ির মধ্যেই ঘোরাঘুরি করে। নিজের বাড়িটা পরিষ্কার রাখতে পারলেই ডেঙ্গি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।’’

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভার পক্ষ থেকে এলাকার ১৫০টি ক্লাবকে ডেঙ্গি সচেতনতা বাড়াতে কাজে লাগানো হচ্ছে। নিয়মিত সাফাই, মশা মারার কাজ চলছে।

যদিও হাবড়ার মানুষ ডেঙ্গি ঠেকাতে প্রশাসনের কাজে এখনও সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাতুল ভট্টাচার্য ও ধ্রুব মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের এলাকায় নিকাশি নালা সাফাই করা হয় না। মশা মারতে তেল-চুনও কার্যত ছড়ানো হচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Health Dengue Mosquito
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE