বিপজ্জনক: এ ভাবেই পারাপার। ছবি: নির্মল বসু
জেটিঘাট নেই। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাদার উপর দিয়েই নৌকায় ওঠানামা করতে হয় গ্রামবাসীদের। কাদায় প্রায়ই পা পিছলে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এমনই অবস্থা মিনাখাঁর আটপুকুর ও মোহনপুর অঞ্চলের সংযোগকারী মোহনপুর ফেরিঘাটের।
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুন্দরবনের বেশির ভাগই নদী পথেই যাতায়াত করতে হয়। তাই সেখানে জেটিঘাট তৈরি হয়েছে। কিন্তু মিনাখাঁর ওই ঘাটে এখনও জেটিঘাট তৈরি হয়নি। অথচ এই এলাকার বেশির ভাগ মানুষ নদীপথেই যাতায়াত করেন। এই এলাকার মানুষের দাবি, অবিলম্বে এখানে সেতু তৈরি করা হোক। না হলে এ ভাবে পারাপার হতে গিয়ে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জেটি নেই বলে বয়স্ক মানুষ, স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের সমস্যায় পড়তে হয়। যাঁরা বাইক অথবা সাইকেল নিয়ে পারাপার করেন তাঁদের বিপদ মাথায় নিয়েই যেতে হয়।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মোহনপুর ও আটপুকুর অঞ্চলের এই সংযোগকারী ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ যাতায়াত করেন। মৎস্য ব্যবসায়ীরা এই ফেরিঘাট থেকে মাছের ঝুড়ি নিয়ে পার হন। ফলে নদীর দু’পারে দু’টি অঞ্চলের মানুষের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ফেরিঘাট। স্থানীয় বাসিন্দা ফজের আলি বলেন, ‘‘জেটিঘাট না থাকায় হাঁটু সমান কাদার উপর দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে নদীতে ভাটার সময়ে পারাপারের জন্য নৌকায় ওঠানামা বেশ বিপজ্জনক।"
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহুবার জেটিঘাটের আবেদন নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র আশ্বাস মিলেছে। কোনও কাজ হয়নি। নিখিল দাস বলেন, ‘‘অবিলম্বে এই নদীর দু'পাড়ে জেটিঘাট তৈরি করা হোক। কাদার উপর থেকে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে গিয়ে পায়ে নানা রকম চর্ম রোগ দেখা দেয়। পা পিছলে কাদায় পড়ে আহত হতে হয়।’’
এ বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য পাপিয়া বর বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে জেলা পরিষদের সভাধিপতির সঙ্গে জেটিঘাট নিয়ে কথা হয়েছে। শীঘ্রই জেটিঘাটের কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy