শিলান্যাসের পরে এই অবস্থায় পড়ে রয়েছে কাজ। নিজস্ব চিত্র।
ন’বছর আগে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। ছ’বছর আগে ভবনের শিলান্যাসের পরে সামান্য কাজ হয়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। সাগরের কৃষ্ণনগর পয়লাঘেরি এলাকার ৩১৮ নম্বর গুণধর স্মৃতি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির নিজস্ব ভবন এখনও গড়ে উঠল না। গ্রামবাসীদের বাড়ির উঠোনেই চলছে কেন্দ্র। এতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের দাবি, কেন্দ্রের পাকা ভবন রয়েছে ধরে নিয়ে মেরামতির জন্য টাকা বরাদ্দ হচ্ছে। কিন্তু সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
অভিযোগ, নলকূপ বসানোর জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও তা বসেনি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
সাগরের বিডিও কানাইয়াকুমার রায় জানান, দ্রুত তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্লকের শিশু বিকাশ প্রকল্প আধিকারিক (সিডিপিও) ত্রিদীপ দাস বলেন, ‘‘ওই অঙ্গনওয়াড়ির নিজস্ব ভবন কী কারণে তৈরি হয়নি বলতে পারব না। নতুন ভবন তৈরির অর্থ ব্লক প্রশাসনের কাছে আসে। টাকাপয়সা কী হয়েছে, জানি না। এটুকু জানি, গ্রামের এক জনের বাড়িতে কেন্দ্রটি চলে।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে গ্রামের এক বাসিন্দা অঙ্গনওয়াড়িটির জন্য জমি দান করেছিলেন। ২০১৫ সালে কেন্দ্রটি অনুমোদন পায়। নতুন ভবন তৈরির জন্য সরকার থেকে প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ২০১৮ সালে নতুন ভবনের শিলান্যাসের পরে কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারপর গত ছ’বছরে আর কাজ এগোয়নি।
সম্প্রতি কেন্দ্রের ভবন মেরামতির জন্য প্রশাসনের ঠিক করা ঠিকাদার এলাকায় আসেন বলে জানান গ্রামবাসীরা। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা ফিরে যান। গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, বরাদ্দ অর্থ কার পকেটে গেল? অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এত বছরেও কেন তৈরি হল না?
এলাকার বাসিন্দা বাবলুচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘গ্রামে দু’টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির জন্য সরকার টাকা দিয়েছিল। একটি কেন্দ্র ঠিক সময়ে তৈরি হলেও অন্যটি তৈরি করা হয়নি। শিশুরা কষ্টে পড়াশোনা করছে। সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে অনেকে। আমরা চাই, বরাদ্দ অর্থ কার পকেটে ঢুকেছে, তা খতিয়ে দেখা হোক। সেই টাকা ফেরত এনে ভবন তৈরি করা হোক।”
অঙ্গনওয়াড়ির কর্মী কল্পনারানি দাস মণ্ডল বলেন, “নিজস্ব ঘর না থাকায় অনেক
কষ্টে এখানে-ওখানে পড়াতে হয় বাচ্চাদের। এক দিন এক জন এসে বলছে, মেরামতির জন্য টাকা এসেছে। সই লাগবে। কিন্তু এটা তো অস্থায়ী কেন্দ্র। এখানে মেরামতি কোথায় হবে? সে কারণে সই করিনি। আমরা চাই নতুন ভবন তৈরি হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy