মৃত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া অপ্রতিম দাস। ছবি: সংগৃহীত।
নরেন্দ্রপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড় দেহের ময়নাতদন্তের পর। সোমবারই ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের একটি সূত্রে খবর, মৃত অপ্রতিম দাস মত্ত অবস্থায় জলাশয়ে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন। তাঁর লিভারে মদের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। পাশাপাশি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রের প্যান্টের পকেটে একটি কন্ডোমের প্যাকেট মিলেছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করেছে, শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে যুবকের। তিনি জলাশয়ে কোনও ভাবে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন। আবার কেউ ঠেলেও ফেলে দিতে পারেন। সেটা তদন্তসাপেক্ষ। তবে জলে ডুবেই অপ্রতিমের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত অপ্রতিমের বাড়ি মহামায়াতলায়। রবিবার দুপুরে নরেন্দ্রপুরের ঢালিপাড়া এলাকার একটি পুকুরে তাঁর দেহ ভাসতে দেখেন কয়েক জন। স্থানীয়েরা জানান, ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া তিন দিন আগে, বৃহস্পতিবার রাতে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে গিয়েছিলেন। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পুলিশ জানাচ্ছে, ফরতাবাদে মৃতের মামার বাড়ি। মামার বাড়ির পাশেই একটি ক্লাব বিয়েবাড়ি হিসাবে ভাড়া দেওয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সেখানে একটি বিয়ের আসর বসেছিল। ওই বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিত ছিলেন অপ্রতিম। সেই উপলক্ষে মামার বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। রাতে বিয়েবাড়িতে গিয়ে খেতেও বসেন। কিন্তু খেতে খেতেই উঠে যান। এর পর থেকেই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানিয়েছেন, শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে উঠে যান ওই ছাত্র। কেউ আবার জানান, ফোনে মেসেজ পেয়েই উঠে যান তিনি।
অন্য দিকে, পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুতে বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে। তাঁর মা দাবি করছেন, ছেলেকে খুন করেছেন বাবা। এ দিকে, বাবা দাবি করছেন, মা-ই খুন করেছেন ছেলেকে! অপ্রতিমের দিদিমার দাবি, বাবাই ছেলেকে খুন করেছেন। তার (মৃতের বাবার) একাধিক বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করেছেন পড়ুয়ার মা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy