অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বিডিও। —নিজস্ব চিত্র।
প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে সুযোগ পেলেই রাস্তার ধারে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঢুকে পড়ছেন বিডিও। সব ঠিকঠাক চলছে কি না, খোঁজ নিচ্ছেন। সময় কাটাচ্ছেন বাচ্চাদের সঙ্গে। কোনও দিন আবার ঢুকে পড়ছেন ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল বা অন্য কোনও সরকারি দফতরে। গত কয়েক দিনে বাসন্তীতে বিডিওর এমন আচমকা পরিদর্শনে তটস্থ কর্মীদের অনেকে। তবে অনেকের দাবি, এর জেরে শৃঙ্খলা ফিরছে।
মাস তিনেক হল বাসন্তীর বিডিও হিসেবে যোগ দিয়েছেন সঞ্জীব সরকার। নিয়ম করে প্রতি দিন সকালে বেরোন। কোনও দিন হেঁটে, কোনও দিন সাইকেলে চেপে ঘোরেন এলাকায়। ব্লকের নানা দিকে চলে যান। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি বা সাইকেল চালানোর পরে রাস্তার আশপাশে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুঁজে ঢুকে পড়েন। খোঁজ নেন, সেই কেন্দ্র কী ভাবে চলছে। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী শিশুরা খাবার পাচ্ছে কি না। শিশুদের স্বাস্থ্যের খোঁজও নেন বিডিও। কেন্দ্রের কর্মী বা সহায়িকারা বেনিয়ম করলে ধমকও খাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে কার্যত তটস্থ বাসন্তী ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী বলেন, “বাড়ির কাজকর্ম সেরে কেন্দ্রে আসতে মাঝে মধ্যেই একটু দেরি হয়ে যেত। কিন্তু এখন সব কেন্দ্রেই কর্মী ও সহায়িকারা সময়ে আসছেন। পাশাপাশি, কোনও সমস্যা থাকলে সেটাও বিডিও সাহেবকে সরাসরি বলতে পারছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হচ্ছে।”
প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালেও মাঝে মধ্যে পরিদর্শনে যাচ্ছেন বিডিও। সেখানে গিয়ে সাফাই কর্মীদের সঙ্গে হাসপাতাল পরিস্কারের কাজে হাত লাগাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তাতে কর্মীরা উৎসাহ পাচ্ছেন, হাসপাতাল চত্বরও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন থাকছে। একই ভাবে ব্লকের বিভিন্ন যক্ষ্মা আক্রান্তের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁদের শারীরিক অবস্থা, পুষ্টির খোঁজখবর নিচ্ছেন বিডিও।
সঞ্জীব বলেন, “আমি প্রাতর্ভ্রমণে বেরোই। রাস্তার পাশে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র দেখলে ঢুকে পড়ি। সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখি। কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা করি। মূলত ব্লকটাকে জানতেই চারদিকে ঘুরে বেড়াই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy