যশোর রোডের শতাধিক প্রাচীন গাছগুলিকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য মঙ্গলবার পথে নামলেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। —নিজস্ব চিত্র।
যশোর রোডের দু’পাশে প্রতিটি গাছ বাঁচাতে আন্দোলনে নামলেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, যশোর রোডের প্রতিটা গাছকে হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। এই দাবিতে মঙ্গলবার মিছিল করার পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও জমা দেন তাঁরা।
২০১৭ সালে যশোর রোডের ‘গাছ বাঁচাও’ আন্দোলনে পা মিলিয়েছিলেন চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রের প্রকৃতিপ্রেমীরা। তাঁদের দাবি, সেই আন্দোলনের জেরেই ৫-৬ বছর ধরে যশোর রোডের গাছগুলি বেঁচে রয়েছে বলে দাবি। ওই গাছগুলিকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কেটে ফেলতে চেয়েছিলেন।
আদালতের নানা আদেশ, নির্দেশ, স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও আজ ওই গাছগুলির মরণাপন্ন অবস্থা। যশোর রোডের শতাধিক প্রাচীন গাছগুলিকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য মঙ্গলবার আবার পথে নামলেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। তাঁদের বিভিন্ন সময় হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও দাবি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।
মঙ্গলবার বারাসত স্টেশন থেকে ‘যশোর রোড গাছ বাঁচাও’ কমিটির মিছিল শুরু হয়। কেকে মিত্র রোড, চাপাডালি মোড়, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ মোড হয়ে সে মিছিল জেলাশাসকের দফতরের সামনে পৌঁছয়। সেখানে বিক্ষোভ দেখান প্রকৃতিপ্রেমীরা। জেলাশাসকের কাছে স্মাপকলিপিও জমা দেন তাঁরা। প্রকৃতিপ্রেমী অর্পিতা সাহার দাবি, ‘‘যশোর রোডের গাছগুলি না কেটে সেগুলিকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হোক। যশোর রোড চওড়া করার বিকল্প বন্দোবস্ত করা হোক। এই মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন অনির্বাণ দাসও। তাঁর মতে, ‘‘কয়েক দিন আগে তাপমাত্রা প্রায় ৪২-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হয়ে গিয়েছিল। তার পরেও এই গাছগুলো যদি কেটে ফেলা হয়, সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই গাছগুলোকে সংরক্ষণ করা দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy