প্রতীকী ছবি।
গৃহ সহায়িকাকে পিটিয়ে অর্ধমৃত অবস্থায় পুঁতে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল গৃহকর্ত্রী ও তার মেয়ের লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে হাসপাতালে মারা যান ওই মহিলা। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম সুচিত্রা গায়েন (৩৪)। সোমবার দুপুরে হিঙ্গলগঞ্জের আমবেড়িয়ার গ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রী মমতা বৈদ্য ও তার বিবাহিত মেয়ে তুলসী মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুলদুলি মঠবাড়ি পঞ্চায়েতের পুঁটিয়ারচক গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে সুচিত্রা। বছর পাঁচেক ধরে পরিচারিকার কাজ শুরু করেন সুচিত্রা। মমতা বৈদ্যের বাড়িতে কাজ মেলে। পুলিশ জানতে পেরেছে, সুচিত্রা শারীরিক ভাবে দুর্বল হওয়ায় ঠিক মতো কাজ করতে পারতেন না। মমতা ও তার মেয়ে প্রায়ই এ কারণে মারধর করত। সোমবার তা বড় আকার নেয়।
অভিযোগ, রড দিয়ে মা-মেয়ে সুচিত্রাকে মারধর করে। খালে ফেলে চুলের মুঠি ধরে জলে চোবায়। এক সময়ে নিস্তেজ হয়ে আসেন সুচিত্রা। তাঁকে অর্ধমৃত অবস্থায় খাল থেকে নৌকোয় তুলে প্রায় তিনশো মিটার দূরে গৌড়েশ্বর নদীর কাছে নিয়ে যায় মা-মেয়ে। সেখানে দেহ পুঁতে ফেলার জন্য মাটিও খোঁড়া হয়।
এ দিকে, ঘটনার কথা রটে যায় গ্রামে। বাসিন্দারা চলে এলে পালায় মা-মেয়ে। দেখা যায়, সুচিত্রার দেহে তখনও প্রাণ আছে। পুলিশ এবং গ্রামবাসীরা মিলে সুচিত্রাকে হিঙ্গলগঞ্জের ন’নম্বর সান্ডেলেরবিল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই মারা যান মহিলা। পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
মঙ্গলবার দেহ সৎকারের পরে নিহতের খুড়তুতো ভাই জগদীশ গায়েন বুধবার দুপুরে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। পুলিশ সন্ধ্যায় মা-মেয়েকে গ্রেফতার করে।
জগদীশ বলেন, ‘‘সুচিত্রা একটু অসুস্থ থাকায় সব সময়ে ঠিকঠাক কাজ করতে পারত না। তা নিয়ে মারধর করা হত। ঠিক মতো খেতে দেওয়া হত না। ওকে মারধর করে আধমরা অবস্থায় নদীর চরে পুঁতে ফেলতে চেয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy