E-Paper

সন্দেশখালির উত্তমকে খুনের মামলার ঘটনায় তোলা হল বনগাঁ আদালতে 

উত্তমের আইনজীবী সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে বনগাঁ থানার ট্যাংরা কলোনি এলাকায় দুই প্রতিবেশীর বিবাদে খুন হয়েছিলেন বিষ্ণু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি।

বনগাঁ আদালত চত্বরে উত্তম সর্দার।

বনগাঁ আদালত চত্বরে উত্তম সর্দার। নিজস্ব চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫০
Share
Save

সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্তকে পুরনো একটি খুনের মামলায় বুধবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হল। পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তমকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হলেও আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। উত্তমের জামিনের আবেদনও বাতিল করেছে আদালত। তাকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

উত্তম জেলা পরিষদের সদস্য। তিনি ছিলেন সন্দেশখালি পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। শাহজাহান কাণ্ডের পরে তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত উত্তমের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ দেখাতে থাকেন সন্দেশখালির মানুষ। এই পরিস্থিতিতে দল তাঁকে বহিষ্কার করে। ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশ গণধর্ষণ, খুনের চেষ্টা সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করে উত্তমকে। তিনি এখন বসিরহাট সংশোধনাগারে আছেন।

বুধবার সকালে সেখান থেকেই তাঁকে আনা হয় বনগাঁয়। উত্তমের আইনজীবী সঞ্জয় দাস জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অগস্ট মাসে বনগাঁ থানার ট্যাংরা কলোনি এলাকায় দুই প্রতিবেশীর বিবাদে খুন হয়েছিলেন বিষ্ণু মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। ছাদের জল প্রতিবেশীর বাড়িতে পড়া নিয়ে বিবাদ। বিষ্ণুকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তিন জনের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন বিষ্ণুর স্ত্রী ঝর্না। তিনি বনগাঁ থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন। তার মধ্যে উত্তম সর্দারের নাম ছিল না। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই খুনের ঘটনায় চক্রান্তের অভিযোগে পুলিশ এই মামলায় উত্তমের নাম যুক্ত করে। এ দিন আদালতে চত্বরে উত্তম বলেন, ‘‘আমি এই খুনের বিষয়ে কিছুই জানি না। জীবনে কখনও বনগাঁয় আসিনি।’’ সন্দেশখালির অভিযোগ নিয়েও উত্তম বলেন, ‘‘সব মিথ্যা। আমি নির্দোষ।’’

উত্তমের আর এক আইনজীবী অভিজিৎ বিশ্বাস বলেন, ‘‘এই খুনের মামলায় আমার মক্কেল সম্পূর্ণ নির্দোষ, সেটা প্রাথমিক ভাবে কোর্টও বুঝতে পেরেছে। সে কারণে পুলিশের পক্ষ থেকে উত্তমকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন বিচারক বাতিল করেছেন। তবে জামিনের আবেদনও খারিজ করেছেন তিনি।’’

অভিজিতের দাবি, উত্তমকে আটকে রাখার চেষ্টা করছে পুলিশ। কারণ, সন্দেশখালির বেশিরভাগ মামলা থেকে তিনি ইতিমধ্যে জামিন পেয়ে গিয়েছেন। অভিজিৎ আরও বলেন, ‘‘বনগাঁর খুনের মামলার সঙ্গে উত্তমের কোনও যোগাযোগ নেই। অভিযুক্তেরা তাঁর আত্মীয়ও নন। উত্তমের কাছে শুনেছি, বছর দশেক আগে এক বার তিনি রাজনৈতিক কারণে বনগাঁয় এসেছিলেন।’’
বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার অবশ্য বলেন, ‘‘খুনের ঘটনার তদন্তে উত্তমের নাম পাওয়া গিয়েছে। তদন্ত চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bangaon

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।