প্রতীকী ছবি।
সকাল তখন ১১টা। ভিড়ে ঠাসা বাজার এলাকায় নিজের দোকান থেকে বেরিয়ে পাশেই চা খেতে যাচ্ছিলেন এক যুবক। হঠাৎই সামনে হাজির আর একজন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কোমর থেকে ধারাল অস্ত্র বের করে ওই যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্যজনের উপরে। একের পর এক কোপে রক্তাক্ত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান সামনের যুবক।
লোকজন ছুটে এসে ধরে ফেলে আততায়ীকে। শুরু হয় মারধর। পুলিশ এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে তাকে। অস্ত্রের কোপে ততক্ষণে ঘটনাস্থলেই মারা গিয়েছেন অন্যজন।
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে অশোকনগর থানার নটনি বাজার এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের নাম মিলন ঘোষ (৩৩)। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অপু কাহারকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ত্রিকোণ প্রেমের জেরেই খুন। অপু সন্দেহ করত, তার স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা আছে মিলনের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নটনি বাজারে মিলনের ওষুধের দোকান আছে। বাড়ি স্থানীয় মাটিয়াগাছা এলাকায়। অপু থাকে নটনি বাজার এলাকায়। পেশায় সে টোটো চালক।
এ দিন সকালে বাড়ি থেকে নিজের দোকানে আসেন মিলন। সকাল ১১টা নাগাদ দোকান থেকে বেরিয়ে চায়ের দোকানে যাচ্ছিলেন। বাজারে তখন দোকানপাট সব খোলা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে এলাকা সরগরম। অপু নিজের টোটো নিয়ে রাস্তার পাশে অপেক্ষায় ছিল। অস্ত্র নিয়ে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে মিলনের উপরে। রক্তাক্ত অবস্থায় মিলন লুটিয়ে পড়েন। অভিযোগ, তারপরেও কোপানো বন্ধ করেনি আততায়ী।
রক্তেমাখা অস্ত্র নিয়ে অপু পালানোর চেষ্টা করে। লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে তাড়া করে তাকে ধরে ফেলে। শুরু হয় মারধর। ইট-বাঁশ-লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। অশোকনগর ও হাবড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পালয়ে যায় লোকজন। ওই অবস্থায় অপুও পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ দৌড়ে তাকে ধরে।
গোটা ঘটনায় ক্রেতা-বিক্রেতারা আতঙ্কিত। অনেকে দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যান।
পুলিশ ও বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অপুর স্ত্রীর সঙ্গে মিলনের সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় কানাঘুষো চলছিল। যা নিয়ে দু’জনের মধ্যে কয়েকবার অশান্তি হয়েছিল। লোকজন মধ্যস্থতা করে মিটমাট করে দিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে সাংসারিক অশান্তির জেরে অপুকে ছেড়ে চলে যান স্ত্রী। অপুর ধারণা হয়, মিলনের জন্যই তার সংসার ভেঙে গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, এরপরেই সে খুনের পরিকল্পনা করে। হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে অপুকে। একটু সুস্থ হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মিলনের দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy