আবার পুলিশকে কটাক্ষ করে কি তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ালেন অর্জুন সিংহ? —ফাইল চিত্র।
ব্যারাকপুরে ডাকাতি এবং খুনের ঘটনায় আবার পুলিশকে বিঁধলেন সাংসদ অর্জুন সিংহ। আগে পুলিশের শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে কটাক্ষ করে ব্যারাকপুরের সাংসদ বলেছিলেন অপরাধীদের ধরতে তারা ব্যর্থ। এ বার নিজে বিশেষ নিরাপত্তা পান বলে তিনি লজ্জিত বলে ঘোষণা বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে জিতে পুরনো দল তৃণমূলে ফেরা অর্জুন। তাঁর কথায়, ‘‘যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই, সেখানে নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিতে লজ্জা হয়।’’ আক্ষেপের সুরে তিনি এ-ও বলেন, ‘‘ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছি না। এ দিকে আমি নিজে ভিভিআইপি নিরাপত্তা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।’’ সাংসদের সংযোজন, ‘‘অপরাধীরাও নিরাপত্তা পাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষ গুলি খেয়ে মরছে! জলজ্যান্ত নিরীহ ছেলেকে মেরে দিল (দুষ্কৃতীরা)!’’
বুধবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরী এলাকায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জনবহুল ওই এলাকায় মাথায় হেলমেট পরে ঢোকে ডাকাত দল। ডাকাতিতে বাধা দিতে গিয়ে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন সোনার দোকানের মালিকের ছেলে নীলাদ্রি সিংহ। এই ঘটনায় এ পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব অর্জুন। যে ভাবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীরা প্রশ্ন তোলেন, সেই একই অভিযোগ করছেন তৃণমূলে থিতু হওয়া অর্জুন। ব্যারাকপুরের ঘটনার আগে অর্জুন পুলিশ প্রসঙ্গে অর্জুন বলেছিলেন, ‘‘৪০ কেজির ভুঁড়ি নিয়ে হাঁটতেই পারে না। সে আবার অপরাধীদের ধরতে পারে নাকি!’’ তাঁর এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যে তা পরিষ্কার হয়েছে। তবে অর্জুন থামছেন না।
এর মধ্যে একটি সাক্ষাৎকারে অর্জুন বলেন, ‘‘জেল থেকে বসে ব্যবসায়ীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। জেল থেকে বসে এক বিরিয়ানির ব্যবসায়ীদের কাছে স্করপিও গাড়ি চাওয়া হচ্ছে। মোটা টাকা তোলা চাওয়া হচ্ছে। কখনও বাইরের জেল থেকে, আবার কখনও সেন্ট্রাল জেল থেকে। এঁদের যাঁরা কালেক্টর তাঁদের গ্রেফতার করলেই আসল মাথা পাওয়া যাবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘পুলিশকে তিন মাস আগে বলেছি, এদের ধরতে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy