শুক্রবার বারুইপুর আদালতে পেশ করা হল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। — নিজস্ব চিত্র।
শাসকদলের ‘ভোটব্যাঙ্ক’ নষ্ট হচ্ছে বলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার বারুইপুর আদালতে ঢোকার মুখে এই অভিযোগ করলেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।
ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমুলের পার্টি অফিস ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, তৃণমূল কর্মীদের মারধর, এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে নওশাদ এবং আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিভিন্ন ভিডিয়ো ক্লিপ খতিয়ে দেখে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই অভিযোগেই শুক্রবার তাঁদের বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়। আদালতে তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ।
শুক্রবার বারুইপুর আদালতে ঢোকার মুখে নওশাদ বলেন, ‘‘শাসকদলের ভোট ব্যাঙ্ক নষ্ট হচ্ছে তাই এই গ্রেফতারি। তবে গরিব মানুষের এই লড়াই চলবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারের ভয়ে আটকে রাখার চেষ্টা চলছে।’’ ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ এও দাবি করেন যে, তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
অন্য দিকে গত ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় আইএসএফের কর্মসূচিতে পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক অভিযোগে জেল হেফাজতে রয়েছেন নওশাদ। ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলে থাকবেন তিনি। ২১ জানুয়ারি আইএসএফের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। সে কারণেই কলকাতায় কর্মসূচি ছিল তাদের। রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ একাধিক বিষয়ে অভিযোগ তুলে নওশাদের নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয় কলকাতার রাজপথে।
এর পরেই নওশাদ-সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে এক জন নাবালকও ছিল। তাকে জুভেনাইল কোর্টে হাজির করানো হয়। ওই দিনই তার জামিন হয়ে যায়। বাকি ১৮ জনকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে তাঁদের জেল হেফাজত হয়। ভাঙড়ের ঘটনায় শুক্রবার নওশাদকে বারুইপুর আদালতে হাজির করানো হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy