বাঁ দিকে স্বপন মজুমদার। ডান দিকে অশোক কীর্তনিয়া। — নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-র রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। তবে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে রাগ করা অনুচিত। এমনটাই মনে করেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণের আর এক মতুয়া বিধায়ক স্বপন মজুমদার। দলীয় নীতি আদর্শ মেনে চলার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। বিজেপি-তে থাকলেও ‘দাবি’ নিয়ে ‘প্রতিবাদ’ জানানোর পথ থেকে সরবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন স্বপনের সতীর্থ তথা বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া।
বিজেপি-র নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণার পর প্রথম বোমা ফাটিয়েছিলেন জেলার পাঁচ মতুয়া বিধায়ক। গাইঘাটায় বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এবং রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী পদ্মশিবিরের বিধায়কদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান। একই রকম ‘বিস্ফোরণ’ ঘটেছে বাঁকুড়াতেও। মতুয়া-ক্ষোভে বিজেপি-র আরও একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি এবং ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়া। এ নিয়ে তাঁদেরই সতীর্থ বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বলেন, ‘‘সংখ্যার হিসাবে দেখতে গেলে মতুয়াদের সে ভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এটা বাস্তব সত্য। আবার আমরা এমন একটা দল করি যেখানে নীতি-আদর্শ মেনে চলতে হয়। দল যে ভাবে চলছে তাতে আগামী প্রজন্মের ভাল হবে। ছোটখাটো বিষয়ে রাগ না করাই উচিত। আমি বিগত দিনে দেখেছি, বিজেপি-তে তফসিলি প্রভাবিত সংরক্ষিত আসনে অন্য জাতির সভাপতি রয়েছেন। মতুয়ারা ভাল ফল দিয়েছেন। এখানে করতেই পারত, আমারও একই মত। তবে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা যেত। যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন, আশা করি তাঁরা বিজেপি ছেড়ে যাবেন না।’’
বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়কের এই মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক। অশোক পাল্টা বলেন, ‘‘আমি বিজেপি-র বাইরে নই। আমার প্রতিবাদ প্রতিবাদের জায়গায় থাকবে। কে কী বললেন এ নিয়ে ভাবনার অবকাশ নেই। মতুয়ারা বিজেপি-র পক্ষে ছিলেন, আছেন, থাকবেন।’’
এর মাঝেই ফেসবুকে তাৎপর্যপূর্ণ পোস্ট করেন সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গায়েন। লেখেন, সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসঙ্ঘ আর কোনও নির্দিষ্ট দলকে সমর্থন করবে না। এই পোস্ট ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। যদিও অশোক বলছেন, ‘‘সম্পাদকের মন্তব্য ব্যক্তিগত। বিজেপি আমাদের দাবি মানবে এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy