ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে পরীক্ষার্থীদের পার করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বনগাঁয়। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
দুই জেলায় নির্বিঘ্নেই কাটল উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিন। এ বার নিজেদের স্কুলে সিট পড়েছে পরীক্ষার্থীদের। তার জেরে শিক্ষা দফতরের তরফে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়। ব্লকে ব্লকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল। পরীক্ষার আগে ও পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তাঁরা। পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন ছিল। পর্যাপ্ত পুলিশ ছিল রাস্তাঘাটেও। শনিবার সকাল থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে বাড়তি নজরদারি চোখে পড়ে। নদীঘেরা ব্লকগুলিতে জলপথেও নজরদারি চালায় প্রশাসন।
তবে উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনে দুই জেলার অনেক পরীক্ষার্থীই পরীক্ষাকেন্দ্রে আসেনি। দিন কয়েক আগে মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়েও এই চিত্র দেখা গিয়েছিল। এ দিনও দেখা যায়, পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করিয়েও অনেকে অনুপস্থিত। গ্রামীণ এলাকার স্কুলগুলিতে অনুপস্থিতির হার ছিল বেশি।
গোপালনগরের ন’হাটা সারদা সুন্দরী বালিকা বিদ্যামন্দির স্কুলে ৬ জন পরীক্ষার্থী আসেনি। বনগাঁর গাঁড়াপোতা গালর্স হাইস্কুলেও জনা ছ’য়েক পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। হাসনাবাদের চকপাটলি হাইস্কুলে এক জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেনি। সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের আতাপুর কেনারাম হাইস্কুলে পরীক্ষা দেয়নি পাঁচ জন। দাউদপুর এইচএল শিক্ষানিকেতনের ৮ জন পরীক্ষার্থী এ দিন অনুপস্থিত ছিল। খুলনা পিসি ল স্কুলের ২ জন পরীক্ষা দেয়নি। সন্দেশখালি ১ ব্লকের কালীনগর হাইস্কুলের ৩ জন পরীক্ষা দেয়নি। সাগরের বামনখালি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে ৬ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। শ্রীধাম হাইস্কুলের দুই পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়নি। খানসাহেব আবাদ হাইস্কুলেও ২ পরীক্ষার্থী আসেনি। ক্যানিং ১ ব্লকের চারটি স্কুল মিলিয়ে অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১। ক্যানিং মহকুমার অন্যান্য ব্লকেও বেশ কিছু পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। স্কুল সূত্রের খবর, অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।
মথুরাপুর কৃষ্ণচন্দ্রপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক চন্দন মাইতি বলেন, “কিছু ছাত্র আর্থিক অনটনের জেরে ভিন্ রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে গিয়ে আটকে পড়েছে। আবার করোনার জেরে পরীক্ষার প্রস্তুতি ঠিকঠাক নিতে না পারায় অনেকে পরীক্ষা দিতে আসেনি।”
গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার পরেও পরীক্ষায় বসে এক সাগরের এক ছাত্রী। বছর উনিশের মেয়েটি কয়েক মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এ দিন সকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার গর্ভপাত হয়। তারপরেও পরীক্ষায় বসে সে। অসুস্থতার জন্য পরীক্ষায় বসতে ঘণ্টাখানেক দেরি হয়। তবে হাসপাতালে বসেই বাকি দু’ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়েছে মেয়েটি।
ক্যানিংয়ের ইটখোলা রাজনারায়ণ স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সাবিনা মোল্লা এ দিন পরীক্ষা চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি তাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy