Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Traffic

যশোর রোড সম্প্রসারণও জরুরি, দাবি অনেকের

বহু বছর ধরেই পথচারী যানচালক এবং এলাকার বড় অংশের মানুষের দাবি, যশোর রোড সম্প্রসারণ করা হোক।

যানজট: হামেশাই এই অবস্থা দেখা যায় যশোর রোডে। নিজস্ব চিত্র

যানজট: হামেশাই এই অবস্থা দেখা যায় যশোর রোডে। নিজস্ব চিত্র

সীমান্ত মৈত্র 
বনগাঁ শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২০ ০১:৩১
Share: Save:

কখনও যশোর রোডের পাশে থাকা গাছের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কায় মৃত্যু হচ্ছে চালকের। কখনও বাস-ট্রাকের ধাক্কায় বাইক, সাইকেল আরোহীর মৃত্যু ও জখমের ঘটনা ঘটেছে। সংকীর্ণ যশোর রোড দুর্ঘটনার সব থেকে বড় কারণ বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

বহু বছর ধরেই পথচারী যানচালক এবং এলাকার বড় অংশের মানুষের দাবি, যশোর রোড সম্প্রসারণ করা হোক। অনেকেই জানান, গাছ না কেটে সড়ক সম্প্রসারণ সম্ভব হলে ভাল। না হলে বিকল্প উপায় বের করতেই হবে। রোজ দুর্ঘটনা তো আর চলতে পারে না।

তবে এলাকার বাসিন্দারা মনে করছেন, সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যেরা নিশ্চয়ই বিকল্প উপায় খুঁজে বের করবেন। যে ভাবেই হোক কাজটা শুরু হোক। তাঁরা পথে বেরিয়ে নরক যন্ত্রণা আর সহ্য করতে পারছেন না। অনেকেরই বক্তব্য, কয়েকটি গাছ যদি কাটা পড়েও, তা হলে প্রতি গাছ পিছু ৫০টি গাছ লাগিয়েও দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হোক।

যশোর রোড, ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের দত্তপুকুর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত এতটাই সংকীর্ণ যে দু’টি বড় ট্রাক পাশাপাশি যাতায়াত করতে পারে না। ফলে সড়কে যানবাহনের গতি কমে গিয়েছে। গভীর রাতে ও ভোরের দিকে সড়ক তুলনায় ফাঁকা থাকলে যান চালকেরা গতি বাড়িয়ে দেন। সামনে হঠাৎ গাড়ি চলে এলে চালকেরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। সড়কের পাশে থাকা গাছে ট্রাক ধাক্কা মারে। এমন ভাবে দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। বাসিন্দারা জানালেন, দু’টি ট্রাক পাশাপাশি যেতে গিয়ে আটকে গিয়েছে। তার ফলে দীর্ঘক্ষণ সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যানজটও তৈরি হয়। সম্প্রতি হাবড়া-অশোকনগর এলাকায় এমন ঘটনায় তিন-চার ঘণ্টা সড়ক অবরুদ্ধ ছিল।

গাড়ির সঙ্গে ট্রাক বা অন্য গাড়ির ধাক্কা লেগেও জখম হচ্ছেন চালক-খালাসিরা। এমন দৃশ্যও দেখা যায়, দূর থেকে বড় কোনও গাড়ি আসতে দেখলে উল্টো দিকে থাকা ট্রাক বা বাস চালক গাড়ি থামিয়ে দেন। রাতে সরু রাস্তায় ট্রাক চালাতে আরও সমস্যায় পড়েন চালকেরা। বিশেষ করে যাঁরা বাইরের জেলা বা রাজ্য থেকে ট্রাক নিয়ে আসেন, তাঁদের বেশি সমস্যা হয়। হাবড়া, বনগাঁর যানজটে যানবাহন দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকে। যানজট পেরিয়ে চালকেরা গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন, এর ফলেও দুর্ঘটনা ঘটছে। গাছের শুকনো মরা ডাল ভেঙে পথে মানুষ মারা যাচ্ছেন। দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে জীবন হাতে নিয়ে মানুষ যানচালক সকলে যশোর রোড দিয়ে যাতায়াত করছেন।

বারাসত ও বনগাঁর কয়েক লক্ষ মানুষের যাতায়াতের প্রধান ভরসা যশোর রোড। বারাসত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার পথে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটছে। এই রাস্তা দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থলপথে বাণিজ্যের জন্য হাজার হাজার ট্রাক যাতায়াত করে। রোজ লক্ষাধিক যানবাহন চলে। বিদেশি যাত্রীরাও যাতায়াত করেন। বনগাঁর মানুষ জানান, যশোর রোড ধরে কলকাতা যেতে প্রায় তিন ঘণ্টা সময় লেগে যায়। ওই পথেই রয়েছে বনগাঁ ও হাবড়া শহরের যানজট। অনেক মানুষ তাই বাধ্য হয়ে যশোর রোড এড়িয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে কলকাতায় যাতায়াত করছেন। যদিও এই পথে দূরত্ব কয়েক কিলোমিটার বেশি।

সকলেই চাইছেন, জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত সড়ক সম্প্রসারণে কাজ শুরু হোক।

অন্য বিষয়গুলি:

Traffic Jessore Road
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy