কেকের পাশেই রাখা পেঁয়াজ। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক
বন্ধুর জন্মদিনে পেঁয়াজ উপহার দিলেন দুই যুবক। ঘটনা বনগাঁর শিমূলতলা এলাকার। পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান তাঁরা।
মঙ্গলবার ছিল শিমুলতলার বাসিন্দা রুদ্রপ্রসাদ ঘোষের ২২ তম জন্মদিন। এ দিন সাত সকালেই তাঁর বাড়িতে হাজির হয়ে যান দুই বন্ধু সৌম্যদ্বীপ রায় এবং রণদীপ বন্ধ্যোপাধ্যায়। বন্ধুকে প্রথমে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান তাঁরা। তারপর উপহার দেন বন্ধুদের ছবি-সহ একটি ফ্রেম। এরপরেই রুদ্রর হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি প্যাকেট। প্যাকেটটি খুলে রুদ্র দেখেন, তার মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ।
কেন এমন উপহার? রণদীপ, সৌম্যদ্বীপের কথায়, ‘‘বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেশ চড়া। অনেকেই পেঁয়াজ কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। বন্ধুকে পেঁয়াজ উপহার দিয়ে আমরা পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ করলাম।’’
তাঁদের দাবি, পেঁয়াজ এখন সাধারণ গৃহস্থালির আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই উপহার হিসেবে এখন তা দেওয়া যেতেই পারে। বন্ধুরা এ দিন ৫০০ গ্রাম পেঁয়াজ উপহার দিয়েছেন রুদ্রকে। রুদ্র বলেন, ‘‘প্রথমে অবাক হলেও পেঁয়াজের যা দাম বেড়েছে, তাতে উপহার হিসাবে পেয়ে ভালই লাগছে। পরিবারের লোকজনও খুশি। সারাদিন বন্ধু অভিভাবক পরিচিতদের কাছ থেকে প্রচুর শুভেচ্ছা ও উপহার পেয়েছি। তবে পেঁয়াজ পাওয়াটাই সেরা।’’
বনগাঁর বাজারে পেঁয়াজের দর অবশ্য এ দিন একটু কমেছে। কিলোপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকায়। দিন কয়েক আগেও যা ছিল ১৪০-১৫০ টাকা কিলো। বিক্রেতারা জানান, গত বছর এই সময়ে কিলোপ্রতি দাম ছিল ৭০-৮০ টাকা। এবার এখনও পর্যন্ত পেঁয়াজের জোগান কম থাকায় দাম কমছে না। ফলে বিক্রি অনেকটাই কমে গিয়েছে। যিনি এক কেজি পেঁয়াজ কিনতেন, তিনি এখন ৩০০-৪০০ গ্রাম পেঁয়াজ কিনছেন।
পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এলাকার একাধিক হোটেল রেস্তরাঁয় স্যালাডে পেঁয়াজের পরিবর্তে মুলো দেওয়া হচ্ছে। গৃহস্থের রোজকার খাবারের তালিকায় পরিবর্তন এসেছে। বনগাঁ শহরের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষিকা ঝুমা মণ্ডল বলেন, ‘‘পরিবারের সদস্যেরা পেঁয়াজি খেতে খুব পছন্দ করেন। নিয়মিত বাড়িতে পেঁয়াজি ভেজে খাওয়া হত। পেঁয়াজের দাম বাড়াতে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy