এই রাস্তা ঘিরেই ক্ষোভ মানুষের। —নিজস্ব চিত্র।
দূর থেকে দেখলে রাস্তা না ডোবা বোঝা যায় না। বনগাঁ ব্লকের ঘাটবাওড় পঞ্চায়েত এলাকার পঞ্চায়েত অফিস থেকে রামচন্দ্রপুর মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের বেশি ভাগ অংশই খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টির জল জমে ছোটখাট ডোবার চেহারা নিয়েছে। গোটা রাস্তায় ইটপাথর উঠে গিয়েছে। রাস্তার কিছু অংশ পিচের। বাকিটা ইট ও ঝামার। এটি পাইকপাড়া-পাটশিমুলিয়া সড়কে গিয়ে মিশেছে। কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রধান ভরসা এই পথ।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে সড়কটি বেহাল হয়ে পড়ে থাকলেও প্রশাসন পূর্ণাঙ্গ সংস্কার করতে পদক্ষেপ করে না। মাঝে মধ্যে ইট ফেলে খানা-গর্ত বন্ধ করা হলেও তা বেশি দিন টেঁকে না। স্থানীয় মানুষ দ্রুত রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ সংস্কারের দাবি করেছেন।
চাষিদের অভিযোগ, রাস্তার কারণে তাঁরা খেত থেকে হাটে আনাজ নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়েন। অনেক সময়ে রাস্তার কারণে বেশি ভাড়া গুণতে হয়। লাভ কমে যায়। আরও অভিযোগ, রোগী নিয়ে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে যেতে হলে রাস্তায় ঝাঁকুনির চোটে রোগীর কষ্ট বাড়ে। অনেকে পথেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই রাস্তায় টোটো, ভ্যান, বাইক, ছোট গাড়ি-সহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। চালকদের দাবি, বেহাল রাস্তায় রোজই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। একই কারণে সমস্যায় পড়ছেন অফিস যাত্রী, পড়ুয়ারা।
এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, বড় গাড়ি তো দূরের কথা, সাইকেল চালানোও বিপজ্জনক। টোটোতে ক্রমশ ঝাঁকুনি খেতে খেতে এগোতে হয়। এক যাত্রী বলেন, ‘‘ভয় হয়, কখন টোটো উল্টে যায়। প্রতি দিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে করে শরীরে ব্যথা হয়ে যায়।’’ এক ভ্যান চালকের কথায়, ‘‘পেটের দায়ে বিপদ মাথায় নিয়েও ধীরে ধীরে ভ্যান চালাচ্ছি। রোজই গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। এ ভাবে আর বেশি দিন টানতে পারব বলে মনে হয় না।’’
ঘাটবাওড় পঞ্চায়েতের প্রধান আনিসুজ্জমান মণ্ডল বলেন, ‘‘সড়কটি সংস্কার করতে জেলা পরিষদ-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। আশা করা যায়, দ্রুত সংস্কার হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy