Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
Sandeshkhali Violence

শান্তি ফেরাতে শিবু-শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবি

এলাকার লোকজন জানান, তৃণমূলের তিন নেতা বাসিন্দাদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে। অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি বাড়ির মহিলারাও।

অশান্ত সন্দেশখালি।

অশান্ত সন্দেশখালি। —ফাইল চিত্র।

নির্মল বসু 
সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৬:২৩
Share: Save:

সন্দেশখালিতে শান্তি ফেরাতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ও শিবপ্রসাদ হাজরাকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।

সন্দেশখালি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার, বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ ও সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এলাকায় অত্যাচার চালিয়ে এসেছে তৃণমূলের নেতারাই। পুলিশ অন্য দলের নেতাদের গ্রেফতার করে রাজনৈতিক রং লাগাতে চাইছে।

এলাকার লোকজন জানান, তৃণমূলের তিন নেতা বাসিন্দাদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে। অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি বাড়ির মহিলারাও। সেই তিনজনের একজন উত্তমকে ধরেছে পুলিশ। কিন্তু বাকি দু’জন শাহজাহান ও শিবপ্রসাদকে না ধরলে এলাকায় শান্তি ফিরবে না বলেই দাবি তাঁদের।

বাসিন্দা স্বপন মাহাতো বলেন, “ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগাতে পুলিশ বিজেপি, সিপিএম নেতাদেরও ধরেছে। তাদের ছেড়ে দিতে হবে।” এলাকার বাসিন্দা পম্পা সর্দার, স্বপ্না কাহারদের কথায়, “মহিলাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। বাড়িতে ঢুকে মারধর, গন্ডগোল করেছে। তার জেরে বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। আমরা চাই এসব বন্ধ হোক। এলাকায় শান্তি ফিরুক। দল-মত নির্বিশেষে আমরা একসঙ্গে থাকতে চাই। তার জন্য দোষী নেতাদের গ্রেফতার করতে হবে। অন্য দলের নেতাদের গ্রেফতার করে প্রশাসন ঘটনাটিকে অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে। কিন্তু সেটা চলবে না। এভাবে ঘটনা অন্য দিকে ঘোরানোর চেষ্টা হলে আরও বড় গোলমাল বেধে যেতে পারে।” শহুরি বিবি, কমলি সর্দাররা বলেন, “এত দিন অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে আমাদের। নিজেদের এলাকায় স্বাধীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে পারতাম না। রাতে আমরা যাতে স্বাধীন ভাবে দিনে-রাতে ঘোরাফেরা করতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে।”

সিপিএম নেতা প্রদ্যোৎ রায় বলেন, “সন্দেশখালি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে শিখেছেন। তাই ওরা তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। সন্দেশখালিতে সঠিকভাবে নির্বাচন হলে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।” বসিরহাট বিজেপি সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পলাশ সরকার বলেন, “তৃণমূলের অত্যাচারের সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। মানুষ দল-মত নির্বিশেষে লড়াইয়ে নেমেছেন।”

এই প্রসঙ্গে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “সাধারণ মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে। সিপিএম-বিজেপি জল ঘোলা করে মাছ ধরতে চাইছে। মানুষ এই চক্রান্ত রুখে দেবে।” পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় সবরকম পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

sandeshkhali
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy