ভরতগড় বাজারে পুলিশি টহলদারি। নিজস্ব চিত্র Sourced by the ABP
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারিতে রবিবার রাতে তেতে ওঠে বাসন্তীর ভরতগড় পঞ্চায়েতের আনন্দাবাদ গ্রাম। গুরুতর জখম হন জহিরুল মোল্লা ও মামুদ আলি শেখ নামে দুই যুব তৃণমূল কর্মী। তাঁদের ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় সোমবারও ওই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন ছিল।
পুলিশ জানায়, স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে, কাউকে ধরা যায়নি।
আক্রান্তদের দলীয় কর্মী বলে মানতে চাননি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে, জহিরুল বলেন, ‘‘আমরা যুব তৃণমূল করি বলেই দলের মূল সংগঠনের লোকেরা হামলা করেছে। আমাদের এলাকায় থাকতে দিতে চায় না ওরা।’’ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, গত বছর ২০ অগস্ট আনন্দাবাদে জানে আলম গাজি নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। কিছু যুব তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ বাধে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা দলের কিছু যুব কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয় এবং তাঁদের মারধর করে এলাকাছাড়া করে বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন পরে হাই কোর্টের নির্দেশে পুলিশ প্রশাসন সম্প্রতি ঘরছাড়া ওই যুব তৃণমূল কর্মীদের ফেরায়। তারপরে রবিবার রাতের ওই ঘটনা।
যুব তৃণমূল নেতা আমানুল্লা লস্কর বলেন, “হামলাকারীরা তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে চলে। আদতে আরএসপি-র লোক।’’ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান গাজি পাল্টা বলেন, “জহিরুল ও মামুদ— দু’জনেই খুনের আসামি। দীর্ঘদিন এলাকায় ছিল না। সম্প্রতি ফিরে জানে আলম খুনের ঘটনায় যাঁরা ওদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিল, তাঁদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছিল। প্রতিবাদ করলে তৃণমূল কর্মীদেরই ওরা মারধর করে। পাল্টা গ্রামের মানুষও ওদের মারে। এরা কেউ তৃণমূল নয়। নিজেদেরকে বাঁচাতে তৃণমূল যুব সংগঠনের ব্যানার ব্যবহার করে। সব আরএসপি-সিপিএমের দালাল।” অভিযোগ উড়িয়ে জহিরুলের দাবি, ‘‘আমাদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছিল। এখন ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে দলের মূল সংগঠনের লোকেরা।’’
আরএসপি নেতা সুভাষ নস্কর বলেন, ‘‘তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল সকলের জানা। সেটা চাপা দেওয়ার জন্য আরএসপি-সিপিএমের নাম করছে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy