রবিবার সকালের এই ঘটনায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেগঙ্গা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীদের বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ করলেন দলের অঞ্চল সভাপতি। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের দাদা বন্দুক হাতে হামলা চালিয়েছেন। এমনকি, বাড়ির মহিলাদের উপর চড়াও হয়ে শ্লীলতাহানির করেছেন বলে দাবি তাঁর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তবে রবিবার সকালের এই ঘটনায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সঙ্গে নেটমাধ্যমে ভাইরাল হল পঞ্চায়েত প্রধানের দাদার বন্দুক হাতে দাপাদাপির ভিডিয়ো। রবিবার ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ বাহিনী।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার চাঁপাতলা গোসাঁইপুর এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে দৌড়দৌড়ি করছেন। অভিযোগ, চাঁপাতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী সেখানকার অঞ্চল সভাপতি হাজি আব্দুর রজ্জাকের অনুগামীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন। চাঁপাতলায় তৃণমূলের আহ্বায়ক শেখ শহিদুল ইসলামের দাবি, ‘‘আমার জামাইকে মারধর করেছে হুমায়ুন। একাধিক মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানোরও চেষ্টা করেছে।’’ কেন হামলা, সে কথাও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা হাজি আব্দুর রজ্জাকের অনুগামী হওয়ায় হুমকি দেওয়া হচ্ছে, প্রধানের নির্দেশ মতো এলাকায় দল করতে হবে। পঞ্চায়েত প্রধানের কথা অমান্য করলে, আমাদের উপর এ ভাবে হামলার চেষ্টা করে।’’ পঞ্চায়েত প্রধানের দাদা হাতে বন্দুক নিয়ে বাড়ির মহিলাদের উপরে চড়াও হয় এবং শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ করেন।
তবে এই সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান হুমায়ুন রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘শেখ মমিনউল্লাহ নামে গাংনিয়ার এক যুবক এলাকায় সমাজবিরোধী নামে পরিচিত। বিভিন্ন সরকারি কাজে বাধা দেয় সে। তার নামে থানা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দফতরের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শনিবার রাতে এলাকার এক ভ্যানচালককে সে মারধর করেছিল। আমার নামেও গালিগালাজ করে। গ্রামবাসীরা জানতে পেরে তার বাড়িতে চড়াও হয়। সে বাড়ি থেকে পালিয়ে গোঁসাইপুরে তার শ্বশুরবাড়িতে আশ্রয় নেয়। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরাই তাকে মারধর করার চেষ্টা করে।’’
বন্দুক হাতে তাঁর দাদার যে ‘দাপাদাপি’র ছবি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, তা নিয়েও সাফাই দিয়েছেন হুমায়ুন। তিনি বলেন, ‘‘দাদা বন্দুক নিয়ে হামলা করেছে, এ কথা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। পাখিমারা বন্দুক নিয়ে বেরিয়েছিল দাদা। গ্রামবাসীরা ঝামেলা করার সময় ওই অবস্থায় ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy