প্রচার: পর্যটকদের নজর টানতে লাগানো হচ্ছে পোস্টার। নিজস্ব চিত্র।
লকডাউন পর্ব পার করে ক্রমশ ভিড় বাড়ছে সুন্দরবনে। সেই সঙ্গে ফের বাড়তে শুরু করেছে দূষণ। পর্যটকদের মধ্যে করোনা-সচেতনতাও তেমন দেখা যাচ্ছে না বলে চিন্তিত ব্যবসায়ী মহলও।
পর্যটকদের সচেতনতার বার্তা দিতে উদ্যোগ করেছেন কয়েকজন যুবক-যুবতী। ঝড়খালি, পাখিরালয়ের মতো পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন তাঁরা। ক্যানিংয়ের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা নিয়োগী, বীথিকা প্রামাণিক, ফারুক সর্দার, দিবাকর সরকার, দেবব্রত পর্বত সহ আরও বেশ কয়েকজন যুবক- যুবতী নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই সুন্দরবনের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে এ বিষয়ে হ্যান্ডবিল বিতরণ করছেন। মাস্কও দিচ্ছেন। পাশাপাশি, পর্যটন কেন্দ্রের চারিদিকে পোস্টার ও মাস্ক টাঙিয়ে দিয়ে এলাকার মানুষকে সচেতন করছেন।
দিবাকর, প্রিয়াঙ্কা, ফারুকরা জানান, বড়দিনে ঝড়খালিতে বেড়াতে এসে চোখে পড়ে ভিড়ের মধ্যে অনেকেই মাস্ক পরেননি। অনেকে চড়ুইভাতি করতে এসে থার্মোকলের থালা, প্লাস্টিকের গ্লাস এ দিক ও দিক ছড়িয়ে রাখছেন। এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে পর্যটকদের সচেতন করার চেষ্টা শুরু করেছেন তাঁরা। ডিজে বক্সের ব্যবহার বন্ধ, গাছের ক্ষতি না করা ও মদ্যপান করে নদীতে না নামার বার্তাও দেওয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগে খুশি এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ী, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকেরা। পর্যটন ব্যবসায়ী সুধীর সরকার, নিখিল দাস জানান, বেড়াতে এসে অনেকেই স্বাস্থ্যবিধির কথা ভুলে যাচ্ছেন। মাস্ক পরছেন না। এটা উদ্বেগজনক। সুধীরের কথায়, ‘‘এই ছেলেমেয়েরা যা কাজ করছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’’ বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই যুবকদের উদ্যোগের তারিফ করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ফারুক, প্রিয়াঙ্কাদের মতো আরও যুবক-যুবতীদের এই উদ্যোগ করতে হবে। তা হলেই সুন্দরবন রক্ষা পাবে, রক্ষা পাবেন সুন্দরবনবাসী। পর্যটকদের এ সব বিষয়ে সচেতন হতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy