E-Paper

রাজনীতি যোগেই কি অধরা জয়ন্ত 

প্রথমে জয়ন্ত ইমারতি দ্রব্যের সিন্ডিকেট তৈরি করে বলে অভিযোগ। কামারহাটি জুড়ে অসংখ্য জুয়া-সাট্টার ঠেকের নিয়ন্ত্রকও সে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ০৮:১৩
Share
Save

এক দিকে বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে, রাস্তায় ফেলে ছেলে ও মাকে মারধর ও তৃণমূল পুরপ্রতিনিধিকে হেনস্থার অভিযোগে কামারহাটিতে বিদ্ধ শাসকদলেরই মদতপুষ্ট লোকজন। প্রশ্ন উঠেছে, এমন কাজে কি রাশ টানতে পারবেন দলীয় নেতৃত্ব?

দু’টি ঘটনাতেই অভিযুক্তদের উত্থানের নেপথ্যে শাসকদলের স্থানীয় প্রভাবশালীরা রয়েছেন বলে অভিযোগ। দলের ছত্রচ্ছায়ায় এসে কারও নাম বদলে গিয়েছে, কেউ আবার পুরপ্রতিনিধির সমান্তরাল ক্ষমতা প্রয়োগের চেষ্টা করছেন। সিন্ডিকেট থেকে জমি দখল, সবই চলছে অবাধে। ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন তৃণমূলের পুরপ্রতিনিধিদের একাংশও।

রবিবার আড়িয়াদহে দুই যুবকের ব্যক্তিগত ঝামেলার মধ্যে স্থানীয় দুষ্কৃতী জয়ন্ত সিংহ ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, সায়নদীপ পাঁজা ও তাঁর মা বুবুন পাঁজাকে রীতিমতো রাস্তায় ফেলে হকি স্টিক, লাঠি, ইট দিয়ে জয়ন্তের দলবল মারধর করে। রাজনৈতিক মদত না থাকলে এই কাজ কী ভাবে সম্ভব, সে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় প্রথমে ছ’জন ও বুধবার জয়ন্তের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সৈকত মান্না ওরফে জঙ্ঘাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু চার দিন পরেও অধরা জয়ন্ত। সূত্রের খবর, পেশায় গোয়ালা জয়ন্ত বছর সাত-আট আগে স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেয়। কয়েক মাসেই ‘জায়ান্ট সিংহ’ নামে পরিচিত হয় সে। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, এলাকায় রীতিমতো তাণ্ডব চালায় জয়ন্ত। গত বছর বোমাবাজির ঘটনায় জেল খাটলেও আধিপত্য বজায় রেখেছে ওই দুষ্কৃতী।

প্রথমে জয়ন্ত ইমারতি দ্রব্যের সিন্ডিকেট তৈরি করে বলে অভিযোগ। কামারহাটি জুড়ে অসংখ্য জুয়া-সাট্টার ঠেকের নিয়ন্ত্রকও সে। পরে কম দামে জমি হাতিয়ে প্রোমোটারির সিন্ডিকেটও শুরু করে। এ বার রাজনৈতিক মিছিলে প্রভাবশালীদের পাশে জয়ন্তের হাঁটা এবং‌ বিধায়ক ও তাঁর পরিজনদের পাশে তার ছবি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মদন স্পষ্ট বলেন, ‘‘কে, কার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, তা বোঝা সম্ভব নয়। কোনও প্রোমোটারের থেকে এক টাকাও খাই না। বেলঘরিয়ায় দুষ্কৃতী-রাজ
চলবে না।’’

অন্য দিকে, কামারহাটির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে শাসকদলের মদতপুষ্ট একটি অংশ কম দামে জমি কিনে বেআইনি নির্মাণ থেকে শুরু করে সরকারি জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি শ্রীতমা ভট্টাচার্যের দাবি, বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে সরব হওয়াতেই তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছে। অভিযোগ, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচটি পল্লি কমিটির একটি শাসকদলের মদতপুষ্ট গোষ্ঠীর দখলে। শ্রীতমা বলেন, ‘‘প্রতিটি কমিটির অধীনে পুকুর এবং আর কী রয়েছে, তার তালিকা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওই একটি কমিটি কিছু দিতে নারাজ।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mob Lynching Ariadaha

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।