—প্রতীকী চিত্র।
মায়ের নিথর দেহের পাশে বসে কাঁদছিল আড়াই বছরের ছেলে। মৃত তরুণীর বাপের বাড়ির লোকজন পৌঁছে দেখেন সেই দৃশ্য। তাঁদের অভিযোগ, পিটিয়ে মারা হয়েছে মেয়েকে।
রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে কুলতলির দেউলবাড়ি-দেবীপুর পঞ্চায়েতের মাধবপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মামণি সর্দার (২১)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, কুলতলিরই মধুসূদনপুর গ্রামের বাসিন্দা মামণি। বছর চারেক আগে মাধবপুরের বাসিন্দা সাগর হালদারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। প্রাথমিক ভাবে
বাড়ির অমতে সাগরকে বিয়ে করেন মামণি। পরে অবশ্য বাড়ির লোক বিয়ে মেনে নেন।
অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নানা কারণে অশান্তি চলছিল। স্বামী ও ভাসুর মিলে মামণিকে একাধিক বার মারধর করে বলেও অভিযোগ। পণের জন্য মামণিকে চাপ দেওয়া হত বলে দাবি বাপের বাড়ির লোকজনের। তাঁরা জানান, একাধিক বার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঝামেলা মিটিয়ে এসেছেন। গত জামাই
ষষ্ঠীতে স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়ি আসেন মামণি। এক দিন পরে মামণিকে রেখেই কলকাতায় কাজে চলে যায় সাগর। সম্প্রতি সাগর জানায়, সে বাড়ি ফিরছে। মামণিকেও শ্বশুরবাড়ি ফিরতে বলে। সেই মতো শনিবার শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন মামণি।
মামণির বাবা ঝড়োরাম সর্দার জানান, রবিবার সকালেই মেয়ের ফোন পান। তিনি বাবাকে জানান, শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হচ্ছে। ঝড়োরামের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই সাগর ফোন করে জানায়, মামণি কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর পরেই বাড়ির লোকজন শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে যান। ঝড়োরাম বলেন, “ওখানে গিয়ে দেখি, মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। পাশে বাচ্চাটা বসে কাঁদছে। আর কেউ কোথাও নেই। সকলে পালিয়েছে। মেয়ের শরীরে মারধরের দাগ ছিল। ওকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।”
রবিবারই কুলতলি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ঝড়োরাম। পুলিশ জানিয়েছে, পণের জন্য মৃত্যু ধারায় মামলা করা হয়েছে। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy