Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
High Tech School

প্রত্যন্ত স্কুলের পাঠেও সহায়ক প্রযুক্তি

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, স্কুলের সহব ঘরেই ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্কুলের আশপাশ ও বাইরেও ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তার মাধ্যমে নজরদারিতে সুবিধে হবে।

সেজে উঠেছে স্কুল।

সেজে উঠেছে স্কুল। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাসন্তী  শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৩৮
Share: Save:

অনেক সরকারি প্রাথমিক স্কুলই পড়ুয়ার অভাবে বন্ধের মুখে। সেখানে সম্পূর্ণ অন্য ছবি বাসন্তীর চুনাখালি হাটখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নানা ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি, পড়ুয়াদের উৎকর্ষের জন্য নানা ব্যবস্থার নিরিখে এই স্কুল পাল্লা দিতে পারে নাম করা বেসরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গেও। সেই স্কুলেই শিক্ষক দিবসের দিনে চালু হল সিসিটিভি ক্যামেরা, এলইডি টিভি, সাউন্ড সিস্টেম এবং ইন্টারকম সিস্টেম।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, স্কুলের সহব ঘরেই ক্যামেরা বসানো হয়েছে। স্কুলের আশপাশ ও বাইরেও ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তার মাধ্যমে নজরদারিতে সুবিধে হবে। ইন্টারকমের মাধ্যমে ক্লাসরুম থেকেই ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। শিক্ষকেরাও ক্লাসে ক্লাসে কোনও বার্তা দেওয়ার প্রয়োজন হলে দিতে পারবেন। এ দিন স্কুলে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিক ঘণ্টাও চালু করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বাসন্তীর অবর শিক্ষা পরিদর্শক মৌমিতা মণ্ডল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিমাই মালি সহ অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ও স্কুল পরিচালন কমিটির সদস্যেরা।

প্রধান শিক্ষক বলেন, “সারা বিশ্ব তথ্য-প্রযুক্তিতে প্রতিনিয়ত উন্নতি করছে। কিন্তু সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত এলাকার ছেলেমেয়েরা তা পায় না। তাদেরও এই সমস্ত প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচয় করানো আমাদের উদ্দেশ্য। তাদের নিরাপত্তাটাও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’ প্রধান শিক্ষক জানান, আগেই স্কুলে ডিজিটাল ক্লাসরুম ও কম্পিউটার শিক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে।

পড়ুয়াদের জন্য ওই স্কুলে নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। স্কুলে পড়ুয়াদের পুষ্টির কথা মাথায় রেখে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে ঘি-ভাত খাওয়ানো চালু হয়। সরকারি নিয়ম মেনে মিড-ডে মিল তো আছেই, পাশাপাশি নিয়ম করে পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট দিনে মরসুমি ফলও খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করেছেন প্রধান শিক্ষক। বছর খানেক আগে স্কুলে চালু হয়েছে ডিজিটাল হাজিরা যন্ত্র। স্কুলে ঢোকার সময়ে পড়ুয়াদের পরিচয়পত্র ওই যন্ত্রের সামনে ছোঁয়ালেই এক দিকে যেমন স্কুলের হাজিরা খাতায় তাদের নাম নথিভুক্ত হবে, তেমনই তাঁদের বাড়ির ফোন নম্বরেও স্কুলে পৌঁছনোর বার্তা পৌঁছে যাবে।

কী ভাবে এত কিছু সম্ভব হল এই স্কুলে? প্রধান শিক্ষক বলেন, “আসলে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। আমরা নিজেরা যেমন নিজেদের বেতনের কিছুটা অংশ স্কুলের উন্নতির জন্য ব্যয় করি, তেমনই অভিভাবকেরাও স্কুলের উন্নতির জন্য স্কুলের সাহায্য বাক্সে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। এ ছাড়াও, এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষজন আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাই এ কাজ সম্ভব হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

basanti
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE