উপপ্রধান খুনে ধৃতেরা। —নিজস্ব চিত্র।
অশোকনগরের গুমা ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের বিজন দাসের খুনের ঘটনায় এ বার নাম জড়াল ওই পঞ্চায়েতেরই প্রধান ও তাঁর স্বামীর। সোমবার অশোকনগর থানায় বিজনের মেয়ে কোয়েনা পঞ্চায়েত প্রধান, তাঁর স্বামী-সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এ দিকে, বিজনের খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন। এ বিষয়ে এলাকায় পোস্টার, ব্যানার, ফ্লেক্স লাগিয়েছেন। সিআইডি তদন্তেরও দাবি উঠেছে। খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার এলাকায় দু’টি মোমবাতি হাতে মৌনী মিছিল হয়েছে। রবিবার রাতে গুমার নিবেদিতা পল্লি এলাকার বাসিন্দা তুহিন দত্তের বাড়িতে ঘুমিয়েছিলেন উপপ্রধান। অভিযোগ, ঘরে ঢুকে তাঁকে গুলি করে আততায়ী। মাথায়-পিঠে গুলি লাগে।
ঘটনাস্থলেই মারা যান বিজন। অভিযোগ ওঠে, এলাকায় ‘জমি মাফিয়া’ বলে পরিচিত গৌতম দাসের বিরুদ্ধে। তার বাড়ি ভাঙচুর করে জনতা। রাতের দিকে পুলিশ গ্রেফতার করে তুহিনকে। ধরা হয় পলাশ শর্মা নামে আরও এক জনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোয়েনা থানায় যে লিখিত অভিযোগ করেছেন, তাতে পলাশের নাম থাকলেও তুহিনের নাম ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে, পলাশ ছিল গৌতমের সাগরেদ। বিজন মারা যাওার পরে পলাশের সঙ্গে গৌতমের ফোনে কথা হয়েছিল বলে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন।
অন্য দিকে, তুহিন ছিলেন বিজনের অনুগামী। ঘটনার দিন বিজন তুহিনদের দোতলা বাড়ির নীচের একটি ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। গ্রিলের গেট খোলা ছিল। অভিযোগ, গৌতম ঘরে ঢুকে গুলি চালায়।গৌতম ওই বাড়ির জামাই। তুহিনের পিসি গৌতমের স্ত্রী। পুলিশের দাবি, বিজন খুনে তুহিনের ভূমিকা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। বারাসতের পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খরিয়া বলেন, ‘‘বিজন দাস খুনের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গৌতমের খোঁজ চলছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, বিজনের মেয়ে থানায় যে অভিযোগ করেছেন, তাতে নাম আছে গৌতম দাস, পলাশ শর্মা, রাম দেবনাথ, গৌতম নন্দী, জেসমিন সাহাজি এবং তাঁর স্বামী সাদিক সাহাজির।কোয়েনা দাবি করেছেন, কয়েক মাস ধরে পঞ্চায়েতে বিভিন্ন কাজ নিয়ে প্রধানের সঙ্গে তাঁর বাবার ঝামেলা চলছিল। খুনের চার দিন আগেও প্রধানের সঙ্গে উত্তেজিত বাক্য বিনিময় হয়।
প্রধান জেসমিন খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘বিজনদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনও খারাপ ছিল না। সরাসরি কোনও ঝামেলাও হয়নি আমাদের মধ্যে।’’
অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর কথায়, ‘‘পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করছে। কেউ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে পদক্ষেপ করবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy