বাঁ দিকে বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানা ও ডান দিকে তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রে আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন। সেই তালিকায় রয়েছে গোসাবাও। বুধবার শেষ প্রচার। সে কথা মাথায় রেখে প্রচারে ঝড় তুললেন যুযুধানরা।
গোসাবা তৃণমূলের জেতা আসন। গত বিধানসভা ভোটেই ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী জয়ন্ত নস্কর জয়ী হন। তবে তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে ওই কেন্দ্রে উপ নির্বাচন অনিবার্য হয়ে পড়ে। ওই কেন্দ্রে আরএসপি প্রার্থী দিলেও, মূল লড়াই তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে। বুধবার নৌকায় চড়ে প্রচার করেন গোসাবার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল। সুন্দরবনের বিদ্যা, গাড়াল এবং গোমর নদীতে তিনি ঘোরেন দিনভর। এর আগে প্রয়াত জয়ন্ত ওই কেন্দ্রে জিতেছিলেন ২৩ হাজার ৭০৯ ভোটে। সেই সংখ্যা টপকে যেতে চান সুব্রত। এমনিতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। ভোটের আগে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো তৃণমূলের ওই গড়ে ভাগ বসানোর ইচ্ছা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিজেপি। কিন্তু দাঁত ফোটাতে পারেনি পদ্মশিবির। গত বিধানসভা ভোটে ওই জেলার মোট ৩১টি আসনের ৩০-টিই দখল করে তৃণমূল। ভাঙড় আসনটি পায় রাজনীতিতে সদ্য আসা দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। তাই স্বাভাবিক ভাবেই গোসাবা আসনটি নিজেদের দখলেই থাকবে বলে মনে করছে তৃণমূল।
ওই কেন্দ্রে বিজেপি-র প্রার্থী পলাশ রানা। এর আগে ওই কেন্দ্রে জয়ন্তর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন চিত্ত প্রামাণিক। তিনি তৃণমূল থেকে গিয়েছিলেন বিজেপি-তে। ভোটে হারার পর চিত্ত ফিরে যান তৃণমূলেই। তবে মাটি ছাড়েননি পলাশ। তিনি গোসাবার ভূমিপুত্র নন। রায়দিঘির বাসিন্দা। পলাশকে ‘বহিরাগত’ হিসাবেই দেখছে তৃণমূল। তবে সে সব সামলে বুধবার শেষ দফার প্রচারে বুধবার ঝাঁপিয়ে পড়েন পলাশ। কর্মী এবং সমর্থকদেরকে নিয়ে চুনোখালি, মসজিদবাটি এবং কচুখালি এলাকায় জোরকদমে প্রচার করেন চিনি। উপ নির্বাচনে সুন্দরবনের মানুষের জীবন জীবিকা এবং নদী বাঁধকেই মূল ইস্যু করেছ প্রচার সারেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy