বাঘের অবস্থান নিয়ে নিশ্চিত বন দফতর। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
গর্জন শোনা যাচ্ছে বার বার। কিন্তু বাঘের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে পিয়ালি নদীর পাড়েই যে তার অবস্থান সে ব্যাপারে নিশ্চিত বন কর্মীরা। আর সেখানেই করা হয়েছে বাঘ-বন্দি করার যাবতীয় আয়োজন।
কুলতলির মেরিগঞ্জ ২ নম্বর অঞ্চলের শেখপা়ডা লাগোয়া জঙ্গলে রয়েছে বাঘ। এ ব্যাপারে নিশ্চিত বন দফতর। অবস্থান নির্দিষ্ট করার পর পিয়ালি নদীর পাড়ে যে জঙ্গল, তার প্রায় ১০০ মিটার এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। তিনটি স্তরে বিছানো হয়েছে জাল। রবিবার জাল দিয়ে ওই এলাকা ঘিরে দেওয়ার পর বাঘ তার বাইরে বার হতে পারেনি বলেই মনে করছেন বনকর্মীরা। কারণ রবিবার রাতে যাঁরা গ্রাম পাহারা দিচ্ছিলেন তাঁরা বহু বার বাঘের গর্জন শুনেছেন বলে দাবি করেছেন। তবে রাতের অন্ধকারে বাঘ জাল ছিঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলেও দাবি করেছেন সুন্দরবনের কুলতলির মেরিগঞ্জ-২ অঞ্চলের শেখ পাড়ার বাসিন্দাদের কেউ কেউ। পাশাপাশি ড্রোন দিয়েও চলে বাঘের অনুসন্ধান। সোমবার সকালে নদীর পাড়ের কাদায় বাঘের পায়ের ছাপ এবং জালে নখের দাগ দেখা গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের ধারণা, বাঘ পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে পারেনি।
জঙ্গলের পাশাপাশি পিয়ালি নদীতেও স্পিডবোট নিয়ে টহলদারি চালিয়ে যাচ্ছে বন দফতর এবং পুলিশ। বনকর্মীদের সঙ্গে রয়েছে ঘুমপাড়ানি বন্দুক। বাঘ ধরা পড়লে তাকে কাবু করতে সেই বন্দুক ব্যবহার করা হতে পারে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। পাশাপাশি, জঙ্গল থেকে বাঘকে বার করতে চকোলেট বোমা এবং বাজি ফাটানো হচ্ছে এলাকায়। রবিবারই দু’টি খাঁচা পাতা হয়েছে। ছাগলের টোপও দেওয়া হয়েছে। বনকর্মীদের অনুমান, কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বাঘটি ক্ষুধার্ত। তাই যে কোনও মূহূর্তে ছাগলের লোভে খাঁচায় ঢুকে পড়তে পারে বাঘ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy