—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নদীর উপরে এক কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু। কিন্তু সন্ধ্যা নামলেই অন্ধকারে ডুবে যায়। সেতুতে আলোর দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা পঞ্চায়েত থেকে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন। তবে আলোর ব্যবস্থা হয়নি বহু আবেদনেও, এমনটাই অভিযোগ।
রায়দিঘির বলের বাজার ও পাথরপ্রতিমা দ্বারিকাপুরের মধ্যে মৃদঙ্গভাঙা নদীর উপরে এই সেতু দিয়ে পাথরপ্রতিমা ব্লকের বাসিন্দারা নিত্য প্রয়োজনে রায়দিঘি বাজারে যান। রায়দিঘিতে রয়েছে মহাবিদ্যালয়, গ্রামীণ হাসপাতাল ও ধান, চাল, মাছ এবং আনাজপাতির
বড়বাজার।
এছাড়া পাথরপ্রতিমা এলাকার বাসিন্দারা রায়দিঘি এসে সেখান থেকে বাসে মথুরাপুর স্টেশন যান। মথুরাপুর স্টেশন থেকে সরাসরি কলকাতায় পৌঁছতে পারেন। বাম সরকারের সময়েই নদীর উপরে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কয়েক বছরের মধ্যে তার নির্মাণ কাজও শেষ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সেতু দিয়ে পাথরপ্রতিমার লক্ষ্মী জনার্দনপুর, অচিন্ত্য নগর, হেরম্ব গোপালপুর এবং রায়দিঘি, নন্দকুমারপুর ও কুমোর পাড়া সহ বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা পারাপার করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের অধীনে থাকা এই সেতুটি প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা ও প্রায় কুড়ি ফুট চওড়া। বছর কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি ওই সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন। গোড়া থেকেই আলোর কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যার পরে ঘুটঘুটে অন্ধকারে সেতু দিয়ে চলাচল করতে গেলে ভয় পান মহিলারা।
অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে সেতুর উপরে বেশ কয়েকবার চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ, রাতে নেশাড়ুদের দখলে চলে যায় সেতুটি। এমনকি সেতুতে ওঠার মুখে দু’দিকে ইমারতি সামগ্রী পড়ে থাকে। সেই কারণেও দুর্ঘটনা ঘটে।
ওই এলাকার বাসিন্দা অলোক বেরা বলেন, ‘‘এত বছর ধরে সেতুটিতে আলো লাগানো গেল না? প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব ছাড়া আর কোন কারণ থাকতে পারে?’’
এ বিষয়ে রায়দিঘির বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, ‘‘ওই সেতুটি রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমা দু’টি বিধানসভাকে সংযোগ করে। সাংসদ তহবিলের টাকায় মাস দুয়েকে’র মধ্যে আলোর ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy